গাজী রুবেল (কুমিল্লা) থেকেঃ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচরে মাদ্রাসা কমিটির সেক্রেটারি ও আওয়ামীলীগ নেতা এনামুল হককে কুপিয়ে হত্যা করেছে জামায়াত শিবির কর্মীরা। এনামুল হক আলেখাচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
নিহতের পিতা ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে এনামূল মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় পথ রোধ করে জামায়াত শিবির কর্মী মসজিদ সেক্রেটারি কাজী জহিরুল ইসলামের নেতৃত্ব তার ভাই কাজী আমানুল ইসলাম, সাইদ ও মাজহারুল সহ কয়েকজন মিলে এনামুলকে টেনেহিঁচড়ে মসজিদের সামনের সড়কে শুইয়ে গলায় চুরিকাঘাত করে।
স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে বিকাল ৩ টায় হাসপাতালেই এনামুল মৃত্যু হয়। নিহতের লাশ বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল জানান, আওয়ামীলীগ নেতা এনামুলের সাথে জামাত নেতা কাজী জহির গংদের পূর্ব রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এনামুলের প্রতিষ্ঠিত আলেখাচর দক্ষিণ পাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এ মাদ্রাসার সেক্রেটারি ছিল এনামুল। জামাত কর্মী কাজী জহির গং দীর্ঘদিন ধরেই মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করতেছিল। এছাড়া বৃহস্পতিবার কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ভিডিও প্রকাশের জন্য এনামুল কে দায়ী করে জহির। এতে করেই কাজী জহির গং এনামুলের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার জুম্মার পর মসজিদ থেকে বের হলে কাজী জহিরের উপস্থিতিতে তার ভাই আমানুল সহ জামাত শিবির কর্মীরা এনামুল এর গলা কেটে হত্যা করে।
ক্যান্টনমেন্ট নাজিরা বাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামী ও হত্যাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে জোরালো অভিযান চলানো হচ্ছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।