• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা সীমান্তের বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্যের ভাতিজা ইয়াবাসহ আটক আওয়ামীপন্থী পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় ময়মনসিংহের ওসি সফিকুল ইসলাম ভাড়া বাড়িতে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ, মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা যুবদল নেতা হত্যা মামলায় পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী কারাগারে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর: সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে হচ্ছে কমিটি, আন্দোলন স্থগিত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো অর্ধশত ফিলিস্তিনি নিহত

কুমিল্লায় আওয়ামিলীগের তিশা বাস বিএনপির পরিচয় দাতা নূর মোহাম্মদের দখলে

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৪০ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ পার্টি দলটি ছিলো দেশের সরকারি দল ও অন্যান্য দলের চেয়েও খুব শক্তিশালী দল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থান এর মধ্যমে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের শক্তিশালী দলের পতন হয়। এই গণ আন্দোলনের তোপের মুখে পরে গত ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার শাসক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে ইন্ডিয়াতে পলায়ন করেন তার পর থেকে দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেন এমপি মন্ত্রী নেতারাও অনেকে আবার ধরা পরে জেল হাজতে রয়েছেন আবার অনেকেই গাঢাকা দিয়ে আছেন।

৫ই আগস্ট স্বৈরাচার শাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর সংবাদ পেয়ে কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এর চাঁদাবাজ ও যুবলীগ কর্মী দুলাল হোসেন অপু দেশ ছেড়ে ইন্ডিয়াতে পালিয়ে যায় বলে গুঞ্জন সংবাদ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় যে চাঁদাবাজ অপু পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে দৈনিক প্রায় চার লক্ষ টাকা চাঁদা উত্তোলন করতেন অপুর সেই জায়গাটা এখন দখল করে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ও কুমিল্লা জেলার চাঁদাবাজদের খাতায় শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছেন নূর মোহাম্মদ এর সিন্ডিকেট চক্র। শুধু তাই নয় নূর মোহাম্মদ দখল করে নিয়েছেন অপুর তিশা বাস কাউন্টার সহ সব গুলি বাস। দখল করে বাসটির নাম করন করেছেন সিলভার তিশা প্লাস নামে কুমিল্লা থেকে ঢাকার এই বাস গুলি চলাচল করছেন বর্তমানে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় অপু দেশ ছেড়ে ইন্ডিয়াতে পালিয়ে গেলেও নূর মোহাম্মদ ও তার পেটুয়া বাহিনীদের চরম হুমকির মুখে রয়েছে অপুর পরিবার আরও কয়েক শত পরিবার। তিশা প্লাস কাউন্টারটি শুধু অপু নয় এখানে অপুর রয়েছে ৮/১০ টি বাস ও এই কাউন্টারের প্রায় ৫০ টি বাস দখল করে নিয়েছেন নূর মোহাম্মদ এর সিন্ডিকেট।ইতি পূর্বেও নূর মোহাম্মদ এর অস্ত্র হাতে ছবি সংবাদে প্রকাশ করা সহ পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে একটি বাস কাউন্টার দখলের ভিডিও প্রকাশ করার পরের ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। তিশা প্লাস বাস স্ট্যান্ড দখলের পর থেকে বর্তমানে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা উঠে নূর মোহাম্মদ এর নেতৃত্বে।

এছাড়াও নূর মোহাম্মদ এর বিষয়ে রয়েছে বৈষম্যময় ছাত্র আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে পুলিশে ও ছাত্রদের উপরে অতর্কিত হামলা করে পুলিশের গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার বিষয় কুমিল্লা সদর দক্ষিন থানায় একাধিক পুলিশ বাদী হয়ে নূর মোহাম্মদকে ২ নাম্বার আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করলেও উক্ত বিষয় সংবাদ প্রকাশ করা হলেও এখনো পর্যন্ত উক্ত ঘটনার কোন প্রকার মামলা দায়ের হয়নি বলে জানা যায় তবে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে নূর মোহাম্মদ গাঢাকা দিয়েছেন প্রকাশে আসেনা বললেই চলে বন্ধ হয়েছে তার এলাকায় অনেক নিরহ মানুষ এর উপরে অত্যাচার।

এই দিকে অনুসন্ধানে উঠে আসে নূর মোহাম্মদ চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও ডাকাতি মামলা রয়েছে যার এফআইআর নং-১১, তারিখ ১১.০৫.২০১৫ইং তারিখে কুমিল্লা সদর দক্ষিন থানায় মামলাটি রজু করা হয়েছে। আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে নূর মোহাম্মদ এর নুন আনতে পান্তা ফোরাত একটা পুরাতন প্রাইভেট কারে করে বিভিন্ন সময়ে মাদকের ক্যারি করতেন কিন্তু গত এক মাসে নূর মোহাম্মদ এর ৪/৫ দামী দামী মটর সাইকেল সহ গাড়ির মালিক বনে গেছেন। তবে নূর মোহাম্মদকে বিএনপি ছত্রছায়া দিচ্ছেন ও বিএনপি নাম ব্যবহার করেই নূর মোহাম্মদ শুরু করেছেন চাঁদাবাজীর রাজত্ব। এই দিকে কুমিল্লা বিএনপির দলটি ৫/৭ জন নেতারা বিভক্ত হয়ে যেন নিজস্ব দল হিসেবে তৈরি করে নিয়েছেন আলাদা -আলাদা কোরাম করে।

বর্তমানে কুমিল্লায় এই নেতারা নিজেদের দলের কর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে আওয়ামিলীগ এর বিভিন্ন কর্মীদেরকে নিজেদের দলে টানছেন এবং বিভিন্ন মামলা থেকেও বাচাচ্ছেন বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তাদের এই সব কর্মকাণ্ড ত্যাগী নেতারা নিশ্চুপ হয়ে বসে আছেন কিন্তু ত্যাগীদেরকে মূল্যায়ন করা হচ্ছেনা যেন মুখ থুবরে পরার একটি দল বিএনপির কিন্তু কুমিল্লা সদর ও সদর দক্ষিণ আসনে রয়েছে অসংখ্য ত্যাগী নেতা কর্মী কিন্তু তাদেরকে তো মূল্যায়ন করাই হচ্ছেনা।

এছাড়াও কুমিল্লার এই দুই আসনে আওয়ামিলীগ এর চেয়ে ৩ গুন বিএনপির সার্পোর্টার ও ভোটার রয়েছে। তার পরেও আলাদা আলাদা কোরাম এর কারনে কুমিল্লায় বিএনপির বেহাল দশায় পরিনত হতে পারে, যেমনটা হয়েছে স্বৈরাচার শাসকের আমলে নিজ দলের নেতার কর্মীকে হত্যা করে আবার নিজ দলের নেতার নামে মামলা দেওয়াতেন সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এমন পরিনত কুমিল্লার এই দুই আসনেও আশঙ্কা করছেন সচেতন বিএনপির নেতা ও কর্মীরা। এই দিকে নূর মোহাম্মদ’কে নিয়ে শুরু হয়েছে কুমিল্লায় বিএনপি-র নেতা কর্মীদের মাঝে বিতর্কিত আলোচনা ও সমালোচনা।

বিএনপি নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজী করছেন নূর মোহাম্মদ তার নেতাকে নিয়েও উঠেছে আলোচনা সমালোচনার ঝড় দলের সকল কেন্দ্রীয় নেতারা যেখানে চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে এই দিকে নূর মোহাম্মদকে ব্যবহার করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী শুরু করেছেন এই সবের জন্য কি এত ত্যাগ দিয়ে এই পর্যন্ত এসেছেন দল ক্ষমতায়! ক্ষমতায় না আসতেই লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী শুরু করেছেন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ডাকাত নূর মোহাম্মদ’কে দিয়ে এতে দলের মান ক্ষুন্ন করা হচ্ছে এইসব কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এরাই এক সময় বিষফোড়া হয়ে দাঁড়াবে দলের জন্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...