মেহেদী হাসান রাসেল, নারায়ণগঞ্জ সদর: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়, চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয়। নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে এক নারীকে মারধর করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মারধরের শিকার ভুক্তভোগী নারী মুসলিমা আক্তার (৩২) বাদী হয়ে ফতুল্লার, চর কাশিপুর এলাকার শুক্কর মাহমুদ এর ছেলে মোঃ হাবীব(৪০),একই এলাকার মাহি মিয়ার ছেলে রাজু (৩৫) এর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরোও ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন-চর কাশিপুর এলাকার শুক্কুর মাহমুদের ছেলে হাবিব(৪০), একই এলাকার মাহি মিয়ার ছেলে রাজু (৩৫) সহ অজ্ঞাত নামা চার থেকে পাঁচ জন চাঁদাবাজ, ভূমিদস্য, উল্লেখিতরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,ভূমিদস্য,অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকজনের জমি জোরপূর্বক জবরদখল করে থাকে।অভিযুক্তদের ভয়ে এলাকার লোকজন কিছুই বলতে পারে না ।
কাশিপুর মৌজার আর এস ২৭০০ নং দাগে আমার বড় বোন তাসলিমা বেগম (৪০) পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে ১৪ শতাংশ জমি, আয়েশা বেগমের ২শতাংশ ৮০ পয়েন্ট, রাহিমা বেগমের ২ শতাংশ, আবু মিয়ার ২ শতাংশ, রেনু বেগমের ২ শতাংশ, রবি হোসেনের ২ শতাংশ জায়গা নিয়ে বসবাস করে আসছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের নেতা দাবি করে, কিছুদিন যাবৎ আমার বোনসহ অন্যান্য মালিকদের কাছে অযৌক্তিক ভাবে টাকা দাবি করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি, হুমকি- ধামকি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় (৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নির্মাণ কাজ চলাকালে। দেশীয় অস্ত্র- সস্ত্র নিয়ে এসে চাঁদা না পেয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
ঘটনাটি আমার বোন তাসলিমা বেগম আমাকে জানালে, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের দেয়াল ভাঙচুর করতে বাধা দিলে, অভিযুক্তরা আমাকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। এবং হুমকি দেয় তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে কোন ধরনের নির্মাণ কাজ করতে দিবেনা ।
এ ঘটনায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারগুলোর। ভুক্তভোগী নারী মুসলিমা আক্তার (৩২) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্য নরসিংপুর এলাকার ওহিদ হোসেনের স্ত্রী ও মুসলিম নগর নয়াবাজার এলাকার মৃত বাদশামিয়ার মেয়ে।
অভিযুক্ত হাবিব(৪০) কাশিপুর,চর কাশিপুর,নরসিংপুর ও এর আশপাশের এলাকায়। নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে,আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ছবি তুলে, ব্যানার- ফেস্টুন করে নিরীহ মানুষের উপর জোড় জুলুম করে প্রভাব বিস্তার করছে। মানুষকে পেরেশানিতে রাখছে বলেও জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবের কাছে জানতে চাইলে জানান, মারধরের বিষয়টি সত্যি নয়, এটি সম্পুন্ন মিথ্যা, নিজেকে ভালো মানুষ দাবী করে বলেন আমি কোন চাঁদা চাইনি। এ বিষয়ে ফতুলা মডেল থানার ওসি নূরে আজম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে,তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শহিদুল আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।