• বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সিরাজদিখানে গাছের সাথে বাসের সংঘর্ষে আহত ৬ উলিপুরে আ’লীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার বিজিবি সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস নির্বাহী কমিটির সদস্য দিপু ভুইয়াকে নিয়ে কটুক্তি রূপগঞ্জে বিএনপির প্রতিবাদ সভা ঠাকুরগাঁও যুবমহিলা লীগের প্রাক্তন সভাপতি তাহমিন মোল্লার বানিজ্যের একাল ও সেকাল! সংস্কার ও নির্বাচনে বিরোধ নেই, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে: ফখরুল সীমান্ত ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি পেছাল নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, নিহত ৭৭

ঠাকুরগাঁও যুবমহিলা লীগের প্রাক্তন সভাপতি তাহমিন মোল্লার বানিজ্যের একাল ও সেকাল!

সংবাদদাতা / ৭৭ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি: পাঠক আসেন তাহমিন মোল্লা ও তার পিতার অতিত ইতিহাস আমরা জেনে নেই। তাহমিনা মোল্লা, পিতা: মৃত আব্দুস সোবহান মোল্লা নিবাস তেতুলিয়া তিননাইহাট পঞ্চগর, বাবার ইতিহাস নিন্মরুপ: আব্দুস সোবহান মোল্লা
প্রত্রিক নিবাস নোয়াখালী, তিনি দেশ বিভাগের আগে আসামে চলে যান, ভারতবর্ষ থেকে ভিবক্ত হওয়ার পরে তিনি আসাম থেকে তেতুলিয়া চলে আসেন, সেই সময় তিনি হিন্দু জমিদার ও দুর্বল হিন্দুদের বসত বাড়ি জমিজামা
ভিটা জবর দখল করে হিন্দুদের জোর পূর্বক সিলিগুড়ি পাঠিয়ে দেন। এই দখল সূত্রেই তিনি বিভিন্ন মহল্লায় একটি করে বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হন। সেই মহল্লার জবর দখল করে নেওয়া জায়গা জমি গুলি সেই স্ত্রীদের দিয়ে দেন।
এভাবে তিনি সাত সাতটি বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হন। এভাবে তার ভোট বৃদ্ধি করেন। এভাবে প্রভাব বিস্তার করে অত্র এলাকায় ৫ পার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বর্তমানে সন্তান সংখ্যা ৩৮ থেকে ৪০ জন (উনি
আওয়ামীলীগের সাথে জরিত ছিলেন) ।

এদের মধ্যে একজন হল তাহামিনা মোল্লা তার পূর্বের ইতিহাস হল সে যখন ক্লাস এইটে পড়তো তখন তার বাবা-মা তাকে বিবাহ দেন সে সেই স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে বোনের বাড়ি রংপুর পীরগঞ্জে অবস্থান করে পড়াশুনা শুরু করে ওখান থেকে এসএসসি পাশ করে সে তার বড় ভাই দিনাজপুর সেতাবগঞ্জে চলে আসেন এবং সেখানে এইচএসসি পড়া শুরু করেন এবং শেষও করেন। সেখান থেকে সে ঠাকুরগায়ে আশ্রমপাড়ায় অ্যাডভোকেট আজগর আলী সাহেবের বাসায় আশ্রিত হয়ে পড়াশুনা শুরু করেন তখন তিনি ঠাকুরগাও সরকারি কলেজে ¯্নাতকে ডিগ্রিতে ভর্তি হন এর মধ্যে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি ঠাকুরগাঁও জেলায় জড়িত হয়ে পড়েন তারপরে ঠাকুরগাঁও যুবমহিলা লীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন ২০০৯ সালেউপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।

তখন তাকে আওয়ামী লীগথেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে চাবি মার্কায় নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য যে তার সেই ভোটে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা কেউই তাকে সহযোগিতা করেনি। ঠাকুরগাঁও সদরের সাধারণ নারীরা এবং চাকরিজীবী নারী সমাজকর্মীরা তাকে বিপুল ভাবে সহযোগিতা করে তার ভোটে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে লিফলেট পোস্টার ছাপানো নমিনেশন সাবমিট করা যাবতীয় খরচ বহন করেন। বিভিন্ন পর্যায় থেকে টাকা সংগ্রহ
করে নমিনেশন জমা দেয়া তারপর পোস্টার লিফলেট প্রচারণা সবই নারী কর্মী করেন এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব বিরল, হাট-বাজার গঞ্জ গ্রামে নির্বাচন প্রচারণা চালায় সেই সময়ও নারী মোটর সাইকেল চালিয়ে প্রচারনা
চালায়। বিএনপি কোন প্রার্থী না থাকায় তার প¶ে বিএনপির সমর্থক লোকজন প্রচুর পরিমাণ ভোট দেন যেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজয় করানো যায়। নির্বাচলে জয় লাভ করার ফলে জীবনের টার্নিং চাকা ঘুরিয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় তার টাকা কামানো মেশিনের শুভ উদ্বোধন, ¶মতা পেয়ে তার সঙ্গে যারা ভোটে একসংঙ্গে পথ চলেছিল তাদের সকলকে তার পথ থেকে সরিয়ে দেয়। তাহামিনা মোল্লার রাজত্বেসময়কাল শুরু হয় ২০০৯
নয় থেকে জুলাই ৩৬ এর বিপ্লবের আগ পর্যন্ত । কিনা করেন নি সে নিয়োগ বাণিজ্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল সাহেবের সঙ্গে পরিচয় সূত্রে তার কাছ থেকে ভাগিয়ে নেন পুলিশের নানান পদের চাকরি বিনিময়ে নেন লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা। এর পরে টেন্ডার বানিজ্যেও হাত পাকান তিনি। নিয়োগ বাণিজ্যের তারপর টেন্ডার বাণিজ্য ভূমি দখল মানুষ বিভিন্নলোকের দুর্বল অবস্থাকে পুজি করে তাদের জায়গা জমি হাতিয়ে নেয় এবং তাদের কাছ থেকে নিজের
নামে ও আত্মীয় স্বজনের নামে পাওয়ার নিয়ে নেন।

ঠাকুরগাঁও বরুনাগাও কালিবাবুর ইটভাটার সামনে একজন বিহারীর প্রায় ১৫ একর জমি তিনি নিজের নামে লিখে নেন, সেখানে আছে পুকুর জমি এবং টিচার্চ ট্রেনিং কলেজ
করেছেন। তিনি তৎকালীন একাত্তর টিভি বর্তমানে জেলখানায় বন্দি ফারজানার রুপার সঙ্গেও ব্যবসা করেছেন বলে জানা যায় ফারজানার রুপার সঙ্গে পাঠ্যপুস্তুক অধিদপ্তরে বিনা টেন্ডারে পাঠ্যপুস্তুক তৈরি একটি কন্টাক বাগিয়ে
নেন। উক্ত মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তুক গুলি তার আশ্রিত আশ্রম পাড়া (ঠাকুরগাও) বাসায় পাঠ্যপুস্তুক গুলি মেশিন বসিয়ে মুদ্রিত করা হয়। এরপর ফারজানার রুপার সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা করে তিনি ঢাকায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের
কয়েটি ফ্ল্যাট, খুলনায় জায়গা জমিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জমি ক্রয় করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় এটাই শেষ নয় তিনি তেতুলিয়ায় তার ছোট ভাই রিয়াজুলকে দশ চাকার তিনটি ট্রাক কিনে দেন যার মূল্য ৩
(তিন) কোটি টাকার উপরে। এই ট্রাক গুলি রক্ষনাবেক্ষন করেন তার ছোট ভাই।

আরো উল্লেখ তাহমিনা মোল্লার বড় ভাই গত বিএনপি সরকার আমলে ঠাকুরগাঁয়ে একটা মাইক্রোক্রেডিটের লোনের ব্যবসা খুলে বসে সেখানে বিভিন্ন দুস্থ লোকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে লাপাত্তা হয়ে ঘা ঢাকা দিয়ে দীর্ঘ দিন এলাকার বাহিরে থাকে। বর্তমানে সেই ভাইকে আবার ক্ষমতায় ফিরে এসে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে তেতুলিয়া তিন নাই হাটে লোনের ব্যবসা চলমান রয়েছে। আরো অনুসন্ধান করলে একাত্তুর টিভির সাংবাদিক ফারজানার রুপার সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো গভীর ভাবে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

তিনি যখন ঠাকুরগাও থেকে ঢাকায় আগমন করতেন তখন তিনি সাংবাদিক ফারজানা রুপার বাসায় থাকতেন যা বিভিন্ন তথ্য থেকে প্রমানিত আরো জানা যায় যে, ফারজানা রুপার সাথে তার বিভিন্নবৈধ অবৈধ ব্যবসা ফেলে বসেন। এবার আসা যাক তার নির্বাচনী হাল হুকিকতের খবর তিনি আবারও ঠাকুরগা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিটো দত্তর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবারও তিনি বিপুল ভোটে হেরে যান। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরেও তিনি থামেননি তারপরে তিনি প্রধান মন্ত্রীকে মেনেজ করে নৌকা প্রতীক নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সেখানেও তিনি বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছোট ভাই মির্জা ফয়সাল আমিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই মেয়র নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোটে পরাজয় বরণ করেন।
এই পরাজয়টি তাহমিনা মোল্লা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি কারণ তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছিলেন, তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল যে আর যাই হোক তিনি তো জিতবেনই! কিন্তুবিধিবাম তিনি পৌরসভায়ও
হেরে যান। এই পরাজয় মেনে নিতে না পেরে তিনি ঠাকুরগাঁও কোর্টে নির্বাচনে পরবর্তীতে একটি মামলা দায়ের করেন সেখানেও তিনি কোর্টেফয়সাল আমিনের কাছে পরাজয় বরন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ¶মতায়
শুরু থেকে সে তিনি আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়ে যান। বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দিবেন বলে তিনি লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা
বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে হাতিয়ে নেন। সেই টাকা দিয়ে একটি ল কলেজ খুলেন । সেখানে টিচার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে বিভিন্ন রকম টাকা পয়াসা নেন, এখানেই শেষ নয়- তিনি ফিট নামে ঠাকুরগাওয়ে একটি এনজিও পরিচালনা করেন সেখানেও বিভিন্ন রকম অনুদান এনে সম্পূর্ণই নিজের পকটস্ত করেন। তারপরে উনি একটি প্রতিবন্ধী স্কুল খুলেন সেই স্কুলে কিছু সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকাও আত্মসাৎ করেন। তার মধ্যে থেকে কিছু লোককে চাকরি দেন বাকি লোকের চাকরি টাকা মেরে দেন। স্কুলটি বর্তমানে সরকারের নিবন্ধনভুক্ত, এইসব প্রতিষ্ঠানের নামে বেনামে অনেক সম্পদ ক্রয় করেন। সেইসব প্রতিষ্ঠানগুলি টিকানোর জন্য এখন তিনি বর্তমানে রাজনৈতিক দল গুলোকে ব্যবহার করছেন। এবার তাদেরকেও সংঙ্গে নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যে নেমে পরেছেন। ৩৬ জুলাই বিপ্লবের স্বাধীন হওয়ার পরে যে দলগুলো এ বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গতি ঘোষণা করেছিল তাদের সঙ্গে আতাত করে এখন তিনি আবারও নিয়োগ বাণিজ্য তদবির বাণিজ্য শুরু করেছেন। শুধুবোতলটাই পরিবর্তন হয়েছে। একই স্টাইলে বাণিজ্যও আছে। এরপর আসা যাক জেলা পর্যায়ে গণমাধ্যমের কথা জেলা কিছু গণমাধ্যম কর্মীকে তিনি তার সময়ে এবং এই সময়েও সে মাসিক মাসোহারা দিয়ে আসছেন। এদের সংখ্যা হবে ২০ থেকে ২৫ জন হবে বলে জানা যায়। এই দস্যুদের হাত থেকে জুলাই ৩৬ বীর নতুন দেশে রক্ষা পারবে কি? যেখানে বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক নেতারা তাকে সহযোগিতাই করে যাচ্ছেন তাহলে এরকম দুষ্কৃতিকারীদের কাছ থেকে জুলাই বিপ্লবের এত শহীদ আত্মদান ও
জনতার রক্তের দাম কি প্রশ্নবৃদ্ধ হবে না? সচেতন এলাকাবাসী মনে করেন এই মাফিয়া রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গেলে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের স্বচ্ছ হতে হবে, সংবাদ কর্মীদে রও স্বচ্ছ হতে হবে, না হলে এই
শহীদদের রক্তদান ভূলিষ্ট হবে। উল্লেখ্য যে সাংবাদিক ফারজানার রুপার সঙ্গে তার ব্যবসায়িক পার্টনার ও তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুদুক যদি অধিক তদন্ত করে তাহলে অনেক কিছু তার দুর্নীতির হদিস আমরা জানতেপারবো। আমরা মনে করি এই দুষ্কৃতিকারী নারীর দুদকের অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন। এলাকার বাসীর কাছ থেকে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় যে, ৩৬শে জুলাই আন্দোলনে শহিদের নামের মামলায় তাহমিনা মোল্লা এজহার ভুক্ত আসামি। কিন্তু তিনি বহাল তবীয়তে ঠাকুরগাও শহরে বসবাস করছেন। লোকাল প্রসাশন দেখেও না দেখার ভানকরছে। এলাকার বাসীর দাবী তাকে আইনের আওতায় নিতে তার সকল দূর্নীতির গল্প বের হয়ে আসবে।
পরবর্তীতে আরো সংবাদ চলমান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...