বনি আমিন, কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা: ঢাকা ২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ণ প্রত্যাশী শাহীন আহমেদের পক্ষে তৃনমূল নেতাকর্মীদের বিশেষ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপি এই তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় ঢাকা-২ সংসদীয় আসনের কামরাঙ্গীর চর, সাভারের ভাকুর্তা, তেঁতুলঝোড়া, আমীন বাজার ও কেরানীগঞ্জের মডেল থানার ৭টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের তৃনমুল প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে তাদের সাংগঠনিক বক্তব্য তুলে ধরেন।
রোহিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুল আলীর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সোহরাব হোসেন খোকন, এ গফুর, শেখ বাদল, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জিনজিরা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সাকুর হোসেন সাকু, কলাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তাহের আলী, তারানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক, হযরতপুর ইউপি চেয়ারম্যা আনোয়ার হোসেন আয়নাল, শাক্তা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন লিটন, বাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশকর আলী, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারেক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সভায় তৃণমূলের নেতা- কর্মীরা তাদের নিজ নিজ বক্তব্যে বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তৃণমূল যার, নৌকা তার । সুতরাং ঢাকা-২ নির্বাচনী আসনে তৃণমূলের নেতা- কর্মীরা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহীন আহমেদকেই তাদের প্রার্থী হিসেবে পেতে চায়। তারা বলেন তৃণমূলের সব বিষয়ে শাহীন আহমেদের কাছে আমরা যেতে পারি। তাদেও দাবি ঢাকা-২ আসনের তৃণমুল শাহীন আহমেদের। তাই আমরা নেত্রীর কাছে আমাদের জোরদাবী জানাই, আগামী নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনের নৌকার মনোনয়ন যেন শাহীন আহমেদকে দেয়া হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা- ২ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ণ প্রত্যাশী শাহীন আহমেদ বলেন, আপনারা সবাই জানেন, তৃণমূলের নেতা কর্মীদের চাওয়ার প্রেক্ষিতে আমি গত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। তখন আমাদের মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন শাহীন তুমি এবার নির্বাচন করো না, আমি তোমার বিষয়টা আগামীতে দেখবো। কাজেই মাননীয় নেত্রীর কথা অনুযায়ী আমি ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করিনি। আবারো নির্বাচন এসেছে, এবার নেত্রী আমাকে ঢাকা ২ আসনের নৌকা দিবে এবং আমি মাননীয় নেত্রীকে নৌকার জয় এনে দিবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, নেতারা নয়, কর্মীরাই আওয়ামী লীগের বড় শক্তি। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূল কর্মীরা আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিল বলেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশকে যে উন্নয়নের পথে নিয়ে চলেছেন তার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সম্মান বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকার বিজয় প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা-২ আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ কেউ মনোনয়নের বিষয়ে গ্রীন সিগন্যাল রেড সিগন্যাল বলে এগুলো ভুয়া কথা। একমাত্র তৃণমূল এবং সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনাই মনোনয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। এখন প্রতিটি কেন্দ্রে জরিপ রিপোর্ট হচ্ছে। এর বাইরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামত নেওয়া হবে। এরপর আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের বিশ্লেষণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঠিক করবেন।