• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

দুবাইয়ে এমটিএফই’র মাসুদের বিলাসী জীবনযাপন

সংবাদদাতা / ৭৮ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অনলাইন  ডেস্ক:

ঘরে শুয়ে-বসে কোটিপতি হওয়ার লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের হাজারও কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুবাইয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছেন এমটিএফই’র প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আল ইসলাম। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, মাসুদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাপুর ইউনিয়নের সাতমোড়া গ্রামে। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। মাসুদ ও তার ভাই মাহাবুব আইটি বিষয়ে দক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করে অর্থ আদায় ও বিকাশ-নগদসহ মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমটিএফই প্রতারণার পর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা মাসুদের বাড়িতে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরা গাঢাকা দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রতারণার টাকা দিয়ে দুবাইয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছেন মাসুদ। তার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাসুদ শুরুতে এমটিএফই অ্যাপের একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী ছিলেন। পরে নিজেই দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একই নামে অ্যাপস চালু করেন। মাসুদ নিজেকে আড়ালে রাখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শত শত সিইও বানিয়েছেন। এসব সিইওদের মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে নেটওয়ার্ক তৈরি করেন তিনি। মাসুদের অন্যতম সহযোগী ছিলেন কুমিল্লার হৃদয়। বর্তমানে তারা দুজনই দুবাইতে অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত সংস্থা। এমটিএফই’র আগে ‘পিএলসি আলটিমা’ নামে আরেকটি এমএলএম কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মাসুদ।

এদিকে এমটিএফই প্রতারণায় মাসুদ আল ইসলামকে প্রধান আসামি করে গত ২৮ আগস্ট রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেছেন মারুফ রহমান ফাহিম নামে এক ভুক্তভোগী। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ বলেন, মাসুদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী সিআইডির কাছেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মাসুদকে ফিরিয়ে আনা গেলে অনেক বিষয় খোলাসা হবে। তাকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবি শাখার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবি শাখা জানায়, এমটিএফই’র মূল হোতা মাসুদকে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশনকে (ইন্টারপোল) চিঠি দিয়ে মাসুদের বিষয়ে অবহিত করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...