• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিভাগীয় সমাবেশ নিঃ স্বার্থ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা সীমান্তের বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্যের ভাতিজা ইয়াবাসহ আটক আওয়ামীপন্থী পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় ময়মনসিংহের ওসি সফিকুল ইসলাম ভাড়া বাড়িতে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ, মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা যুবদল নেতা হত্যা মামলায় পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী কারাগারে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ

নারায়ণগঞ্জে ক্যামেরা পার্সনের উপর হামলার ৭ দিন, মামলা হয়নি থানায়

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ / ১৪৫ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মাই টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধির ক্যামেরা পার্সন শাহিন আলমের উপর অতর্কীত হামলার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলা কিংবা কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি সদর মডেল থানা পুলিশ। জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ সকালে লাঙ্গলবন্ধ স্নানোৎসব কাভার করার জন্য নবীগঞ্জ- হাজীগঞ্জ ফেরীঘাট পাড়াপাড়ের জন্য গাড়ি সহ সেখানে যায় ক্যামেরা পার্সন শাহিন আলম। সেই সময় হাজীগঞ্জ এলাকায় প্রায় দেড় শতাধীক যানবাহন জমে যায়। শাহিন তখন ফেরীতে দাীয়ত্বরত ভাইগ্না মামুন ও কোরবানকে দুটি ফেরী চালানোর অনুরোধ জানায়।

অনুরোধ জানানোর সাথে ভাইগ্না মামুন তাকে বলে ফেরী কি তোর বাপের, যে তোর কথায় চলবে। এ কথা বলে ভাইগ্না মামুন ও টোল আদায়কারী কোরবান শাহিনকে মারধর শুরু করে এবং মারতে মারতে গাড়ির নিচে ফেলে দেয়। এরপর কোরবান ফোন ধরিয়ে ফেরীর সাব-ইজারাদার রিয়েলকে। সে ফোনে বলে তোর মাই টিভি ও তোর প্রতিনিধি সহ তোকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিবো।
আরও জানা গেছে, মাস কয়েক আগে নবীগঞ্জ- হাজীগঞ্জ ফেরী ঘাটে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে মাই টিভিতে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার হয়।আর সেই প্রতিবেদন প্রচারের পর টনক নড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের। ওই নিউজ এর জেরে এবং পূর্ব শত্রুতার কারনেই এ হামলা করেছে ফেরীর ইজারাদার সাজনু ও রিয়েল বাহিনীর সদস্যরা এমটা দাবী মাই টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুনের।

শাহিন জানায়, গাড়ির অতিরিক্ত চাপের কারনে আমি তাদেরকে দুটো ফেরী চালাতে বললে ভাইগ্না মামুন ও কোরবান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল সহ লাথি-ঘুষি মারতে মারতে গাড়ির নিচে ফেলে দেয়। এবং রিয়েল মিয়া আমাকে ফোনে হুমকি দিয়ে বলে আমাকে ও আমার বসকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিলেও নাকি কেউ টের পাবে না। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও থানার ওসি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা দীপক কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমি জেলা পুলিশ সুপার সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এর সুষ্ঠ বিচার কামনা করছি।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান জানায়, আমি এসপি অফিসে মিটিং আছি পরে কথা বলব। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওসি কোন যোগাযোগ করেননি।
সাধারন যাত্রীরা জানিয়েছে, নবীগঞ্জ- হাজীগঞ্জ ফেরী ঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায় করা, অধিক সময় বসে থাকা, যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরন এবং ইচ্ছে খুশি মত ফেরী পরিচালনার নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে কেউ কথা বললে ইজাদারের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদেরকে মারধর সহ খারাপ আচরন করে থাকে। এমিনকি অনেকের মুখে শোনা যায় যে, এটা নাকি এক প্রভাবশালী এমপির নির্দেশে যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনুর।
এবিষয়ে ইজারাদার সাজুন জানায়, এর বড় বড় ঘটনা অন্যান্য ফেরীতে ঘটে, এটা নাকি কোন ঘটনাই না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...