• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করলেন শ্রমিক নেতা আনিছ মাস্টার

সংবাদদাতা / ১৬১ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আনিছুর রহমান মাস্টার (৩৯) নামে এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ এর কাছ থেকে নদী হতে বালু তোলার অনুমোদন এনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত আনিসুর রহমান মাস্টার বরিশাল জেলার, মেহেদীগঞ্জ থানার, আশা গ্রামের দেওয়ান হোসেনের ছেলে,ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ মাওলা বাজার এলাকার হুমায়ুন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। অভিযোগকারী হাবিব মাঝি বরিশাল জেলার, হিজলা থানার ,চরিকলা গ্রামের চুরি কিল্লা গ্রামের ইদ্রিস মাঝির ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ৮ বছর পূর্বে কনকোর্ড-১ জাহাজের অভিযুক্ত আনিছ মাস্টার বাবুর্চি কাজ ও অভিযোগকারী হাবিব মাঝি জাহাজের সুকানী হিসেবে চাকুরী করতো,সেই সুবাদে তাদের পরিচয় হয় ও দুজনের সাথে সুসম্পর্ক গরে ওঠে। পরবর্তীতে বাবুর্চি আনিছ মাস্টার দেড় মাস চাকুরী করার পরে চাকুরী ছাড়িয়া ফতুল্লার ধর্মগজ মাওলা বাজার চলে আসে এবং আলিগঞ্জ এলাকায় রাজনীতি সাথে জড়িত হয়।

বিগত এক বছর পূর্বে হাবিব মাঝি জাহাজ যোগে আসার পর ধর্মগঞ্জ মাওলা বাজার ঘাটে আনিছ মাস্টারের সাথে পুনরায় দেখা হয় ও কথাবার্তার একপর্যায়ে বাবুর্চি আনিছ মাস্টার জানায়, সে পাগলা বাল্কহেড ও ট্রলার নৌ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তার অধিনে অনেক শ্রমিক কাজ করে। বিআইডব্লিউটিএ থেকে অনুমোদন আনিয়া বালু কাটার ব্যবস্থা করে দিবে আনিছ মাস্টার।

কথাবার্তা শেষে কিছুদিন পরে আনিছ মাস্টারকে স্বাক্ষরিত তিনটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প, ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, নগদ ৩ লাখ টাকা পাগলা বাল্কহেড ও ট্রলার নৌ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে এসে জমা দেয় হাবিব মাঝি। এমনকি হাবিব মাঝির গ্রামের বাড়ির জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকার কথা বলিলে আনিস মাস্টার তার কাছ থেকে দলিলসহ মামলার কাগজ নিয়ে সমস্যা সমাধান করার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা নষ্ট করে ।

পরবর্তীতে বিআইডব্লিউটিএ এর অনুমোদন আনিয়া দিতে ব্যর্থ হলে আনিছ মাস্টারের কাছে কাছে টাকা ফেরত চাইলে নানা তাল বাহানা শুরু করেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ দুপুরে তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে কল করে টাকা, দলিলের ফটোকপি, মামলার কাগজ ফেরত চাইতে গেলে অভিযুক্ত আনিছ মাস্টার, হাবিব মাঝিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেন।

অভিযোগকারী হাবিব মাঝি সাংবাদিকদের বলেন, আমার কাছে প্রতারক আনিছ মাস্টার’কে টাকা লেনদেনের সাক্ষী রয়েছে। শুধু আমার কাজ থেকে একা না এমন আরো অনেকের কাছ থেকে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এমন ঘটনায় আমিসহ অনেকেই ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আনিছ মাস্টারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন হাবিব অবৈধ ভাবে নদীপথে জাহাজ চালাত তার কোন কাগজপত্র ছিল না, আমার অফিসে এসে পরীক্ষা দিয়েছে, সে আমার ছাত্র, পরীক্ষা শেষে সরকারি ভাবে হাবিবকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।সে আমার পার্টনার ছিল তার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...