বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার অভিনয়শিল্পী পরীমণি ও শরিফুল রাজ। ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন তারা। এ দম্পতির পুণ্য (পদ্ম) নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। যদিও ভেঙে গেছে এই সংসার। একাই পুত্রকে মানুষ করছেন এই অভিনেত্রী।পরীমণির ছেলে অসুস্থ। ধুম জ্বর। স্বাভাবিক কারণে সন্তানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। এসব তথ্য জানিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে কখনো ইঙ্গিতপূর্ণ, কখনো রাজকে নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছেন। পরীমণি তার লেখার শুরুতে তিনি বলেন, “রাতজাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখো শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ ডিগ্রি জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতন। তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না, জাস্ট ট্রাস্ট মি!
ইঙ্গিতপূর্ণভাবে পরীমণি বলেন, “রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধুরা, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না? কাদের লাগে জানেন? যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যালে। শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না।”
‘জানোয়ার’ সম্বোধন করে পরীমণি বলেন, “একবার ভাবো তো, দিনের শুরু থেকে শেষ অব্দি কি কি করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না জানোয়ার! ভাবা লাগেওনি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে।”পরীমণির সন্তানের জন্য তথাকথিত বাবার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন এই অভিনেতা। তার ভাষায়, “পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নাই, অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা। ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব। কারণ ওরা এটাই বুঝে বুঝে বড় হচ্ছে।
কিন্তু আমাকে বোঝ দেয়ার মতন তোমার কিচ্ছু নেই সোনা জীবনে আর…। বাবা হিসেবে হাসপাতাল থেকে সন্তানের শারীরিক অবস্থা রাজের মুঠোফোনে আপডেট পাঠানো হয়ে থাকে। এ তথ্য স্মরণ করে পরীমণি বলেন, “আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো মরেই যেতা। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি? কিছু ঘেন্না খোলাই হয়।আগস্ট তাদের ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্ম হয়। পরে পরীমণি একটি কন্যাসন্তান দত্তক নিয়েছেন।