• বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

পারিবারিক বিরোধ আর প্রতিহিংসার শিকার এসপি

সংবাদদাতা / ১৩৮ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পারিবারিক বিরোধের জিজ্ঞাসা কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তার ভয়াল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায়। সেখানকার এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ও পুলিশ পরিদর্শক সারে আলমের বিরুদ্ধে তাদেরই চাচাতো ভাইয়েরা বিভিন্ন দপ্তরে ৭৩টি অভিযোগ দাখিল করেছে। গত কয়েক বছরে এসব অভিযোগ দাখিলের মাধ্যমে অব্যাহত হয়রানি চালিয়েও ক্ষ্যান্ত হননি তারা, এবার চাকরি থেকে হটাতে হাইকোর্টে রীট পর্যন্ত করেছে। ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক অভিযোগ দিয়েছেন এবং নানা প্রভাব খাটিয়ে সে সব তদন্তও করিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। এরপর উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে আবারও তদন্তের দাবি জানিয়ে নানা আস্ফালন শুরু করেছেন। শুধু পারিবারিক বিরোধ, প্রতিহিংসার জিঘাংসা যে কাউকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে তারই নজীর এ ঘটনাটি। প্রাথমিক ভাবে খবর টি শুনেই কেমন যেন অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। সারাদেশে পুলিশ অফিসারদের দ্বারাই সাধারণ মানুষ হয়রানি, নিপীড়ন, নির্যাতনের এন্তার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে পুরোপুরি উল্টো ঘটনা শুনেই খটকা লাগে। বিডিসি ক্রাইম বার্তার  অনুসন্ধানী টিম খোঁজ নেয় আশুগঞ্জে, খবর নেয়ার চেষ্টা করেন সোহাগপুর নাগরপাড়া গ্রামেও। সবার কণ্ঠে অবাক করা অভিন্ন সুর।

তারা বিডিসি ক্রাইম বার্তার টিমকে জানান, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামানের ছেলে নূরে আলম (এসপি) এবং সারে আলম (ইন্সপেক্টর) ছোটবেলা থেকেই খুব সহজ, সরল, নরম প্রকৃতির মানুষ। তাদের মানবিকতা ‘কে দুর্বলতা হিসেবে ধরে সুযোগ নিয়েছে চাচাতো ভাইয়েরা। সহায় সম্পদ কেড়ে নেয়ার চেয়েও প্রতিহিংসা পরায়ণতা তাদের কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর নাগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম ও তার ভাই মোশারফ আলম ওরফে কানা মোশারফের টার্গেট এবার পুলিশ পরিবার। খোরশেদ ও মোশারফ পারিবারিক বিবাদের জের ধরে তাদেরই চাচাতো ভাই নূরে আলম (এসপি) ও সারে আলম (ইন্সপেক্টর) এর বিরুদ্ধে একের পর এক কল্পিত অভিযোগ দাখিল করে তাদের জীবন বিষময় করে তুলেছেন। এসপি নূরে আলম বর্তমানে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার হিসেবে এবং সারে আলম ঢাকায় পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্তব্যরত রয়েছেন।

প্রতিহিংসা মূলক জিজ্ঞাসায় ধারাবাহিকতায় হয়রানির উদ্দেশ্যে উপরোক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সত্যতা পাননি। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে খোরশেদ উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে আবারও তদন্তের দাবি করেন। মূলত দফায় দফায় অভিযোগ তুলে হয়রানি ও মানসিক যন্ত্রণার মাধ্যমে বিপর্যস্ত করে তোলাটাই তাদের কাজ।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মৃত সুরুজ মিয়া ও তাদের পূর্বপুরুষ এবং তার সন্তানরা মোশারফ আলমের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম পরম্পরায় এলাকায় অত্যাচারি লোক হিসাবে পরিচিত। তারা যাবতীয় হয়রানি থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দুই পুলিশ কর্মকর্তা’কে রেহাই দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...