• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ফেনীতে সাংবাদিক সোহেলকে মহিপাল হত্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ! ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন হায়দার আলী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থেকেও হলেন হত্যা মামলার আসামী চেন্নাই টেস্টে টাইগারদের রেকর্ড ব্যবধানে হারাল ভারত মুন্সীগঞ্জে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গ্রাহকদের চাপের মুখে কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ আন্দোল‌নে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় ঢাকায় চীনা মেডিকেল টিম ভারতের বিশেষ অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা বালুরঘাট দখল নিয়ে কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাড়িতে মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই বোন

কক্সবাজার প্রতিনিধি / ৯২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩

পরীক্ষা শুরু হওয়ার সাড়ে ৫ ঘণ্টা আগে মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর মায়ের লাশ বাড়িতে রেখেই এসএসসির দ্বিতীয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে দুই বোন। মঙ্গলবার কক্সবাজারের টেকনাফের এজাহার বালিকা সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাদিয়া ফেরদৌস ও শারমিন ইয়াসমিন সাদেকা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়এর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাদের মা আনোয়ারা বেগমের (৪৯) মৃত্যু হয়।

সাদিয়া ও সাদেকা উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের খোয়াইছড়ি পাড়ার জহির আহমদের মেয়ে। দুই বোনই সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।এদিকে মায়ের মরদেহ রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা দুই বোনকে দেখতে এজাহার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা যে কোনো সন্তানের জন্যই অনেক কঠিন কাজ। ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক। তাই তাদের সান্ত্বনা দিয়ে কিছুটা মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি।সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ দৌলা জানান, সকালে সাদিয়া ও সাদেকার মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে ছুটে যাই। এরপর তাদের বুঝিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছি। সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

এজাহার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপার লম্বরী মলকাবানু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল বলেন, দুই বোন পৃথক দুই হলে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় পরীক্ষার শেষ পর্যন্ত তাদের দেখাশোনা করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category