• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী শাহজাহানের দোসরদের পুর্নবাসন করছে বিএনপি নেতা বাবুল হানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের বাইরে কিছু নেই: বাদশা ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শপথ নিলেন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার টুঙ্গিবাড়িতে ১১ হাজার টাকার বীজ আলু ২৬ হাজারে বিক্রি না:গঞ্জে বাউল গানের আড়ালে নাশকতাকারীরা পুলিশকেও ডেম কেয়ার সুনামগঞ্জ সীমান্তে ‌পুলিশের হাতে দুই চিনি চোরাকারবারি গ্রেফতার দুদকের অনুসন্ধানে চিহ্নিত জড়িত শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭ ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

বালুরঘাট দখল নিয়ে কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ / ৪১ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার মিরপুরে অবৈধভাবে বালুরঘাট দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের রানাখড়িয়া গ্রামের গোরস্তান বালুর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর- ভেড়ামারা) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম ও একই আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন- মিরপুর উপজেলার রানাখড়িয়া গোরস্তানপাড়া এলাকার মৃত মনিরুদ্দিনের ছেলে রাশিদুজ্জামান রাশেদ (৪৩), তার বড় ভাই আব্দুস সালাম (৪৭) ও বালু ব্যবসায়ী পাপ্পু ইসলাম। তারা সবাই বালু ব্যবসায়ী ও মিরপুর- ভেড়ামারা আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরীর সমর্থক।

আহতের ভাই ও বালু ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা প্রায় দুই যুগ ধরে রানাখড়িয়া ঘাটে বালুর ব্যবসা করি। ৫ আগস্টের পর বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। গত পরশুদিন নদী থেকে ঘাটে বালু আনি। এতে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর- ভেড়ামারা) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের সমর্থক সাইফুল ইসলাম, জসিম, জুয়েল, আশরাফুল ইসলাম, আসলাম উদ্দিন, শাওন বিশ্বাস, আকাইলে সহ প্রায় শতাধিক লোকজন পিস্তল সহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তারা চর ও বালুর ঘাট দখলের উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের পক্ষের পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরীর সমর্থক।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘাট দখল করতে যাইনি। তারা জয় বাংলার স্লোগান দিচ্ছিল। এজন্য তাদের’কে মারপিট করা হয়েছে। তারাও আমাদের মারপিট করেছে।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র একাধিক নেতাকর্মী বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব বা কোনো অপরাধ করলে তার দায় দল নেবে না। কেউ যদি অন্যায়- অনিয়ম করে তার দায় তাকেই নিতে হবে। বিএনপি কারো অপকর্মের বা অপরাধের দায় নেবে না।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, বালুরঘাট দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...