• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন ফার্মগেটে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট সম্পদের হিসাব দিতে হবে রাজউক কর্মকর্তাদের গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবে ব্রিটেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিভাগীয় সমাবেশ নিঃ স্বার্থ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন হায়দার আলী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ / ৬১ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া দৌলতপুর ফিলিপনগর ইউনিয়ন, ইসলামপুর ফরাজী পাড়া বাসিন্দা মৃত আজহার আলীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করে দিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ও অসৎ উপায়ে ভাতা প্রাপ্তির সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তুু এই হায়দার আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের উপযুক্ত তথ্যপ্রমানাদি  থাকার পরেও মুক্তিযুদ্ধ জাতীয়করণ তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করেন নাই, যার বিনিময়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

এছাড়া হায়দার আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন,”গায়ের লোক জানে, মুক্তিযোদ্ধা বানায়ে দিছিলো তাই হয়েছি”।মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী ফিলিপ নগর মরিচা ইউনিয়নের ১১৭ জন ব্যক্তির কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন বলে গরু বিক্রী করে, ছাগল বিক্রি করে টাকা নিয়েছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে, আর এই ভুক্তভোগীদের মধ্যে সিংহ ভাগই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সনদধারী, আর অন্যান্য গুলোকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেবেন বলে নিয়েছেন নগদ অর্থ।

এছাড়া হায়দার আলী ২০০৬ সাল হতে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পারিবারিক ভাবে ছিলেন অস্বচ্ছল। ২০০৮ সাল পরে হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ও ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত লুটিয়ে দুর্নীতি করেছে, খড়ের বাড়ি থেকে ৫ তলা বিশিষ্ট বাড়ি করেছেন।

কিনেছেন অঢেল সম্পত্তি। এদিকে হায়দার আলীর মেজ মেয়ে হামিদা ইয়াসমিন হ্যাপী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সহকারী ফুড ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত বর্তমান কুষ্টিয়া সদর উপজেলাতে পোস্টিং, হায়দার আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে নয়ন কুষ্টিয়া কুমার খালী আনসার বিভাগের (টিআই) ট্রেনিং ইন্সট্রাক্টর পদে কর্মরত। ছোট মেয়ে শ্যামরোজ সুলতানা হেলেনা দৌলতপুর উপজেলার দিঘলকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।

উল্লেখিত হায়দার আলীর ছেলে মেয়েদের চাকুরীর লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন অন্যজন। যাহা হায়দার আলীর এলাকার স্থানীয়দের দাবী তদন্ত করলে স্পষ্ট বেরিয়ে আসবে। হায়দার আলীর বড় জামাই হামিদুর রহমান শিমুল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকুরী করেন MODC(Ministry of Defence Clark) পদে, হয়দার আলীর দুর্নীতি ও আকাম-কুকামের বিষয়ে লেখালেখি করলে এই বড় জামাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচয় দিয়ে সেই সাংবাদিককে নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

এছাড়া হায়দার আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গায়ের লোক জানে, মুক্তিযোদ্ধা বানায়ে দিছিলো তাই হয়েছি”। হায়দার আলী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করে দেবো বলে লক্ষ লক্ষ ও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

বাদ পড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশলে সরকারী ভাতা পাইবার ব্যবস্থা করে দিয়েছে যাহা তদন্ত করলে স্পষ্ট বেরিয়ে আসবে এলাকাবাসীর দাবী এবং হায়দার আলী মুক্তিযোদ্ধাদের নামে-বেনামে রাষ্ট্রীয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। উল্লেখিত বিষয় হায়দার আলী মুঠোফোন (মোবাইল) নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলে, হায়দার আলী ফোন রিসিভ করেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...