মাসুম আহমেদ মীরাঃ মনপুরা থানা পুলিশের এসআই জাকির হোসেন’র বিরুদ্ধে স্ত্রী’কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন নারীদের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের অভিযোগ স্ত্রীর। বুধবার (৩ জুলাই) এসআই জাকির হোসেন’র স্ত্রী রোকসানা হোসেন সুমি বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়াটার্স এ পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই এসআই জাকির বিভিন্ন নারীদের সাথে পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তারা বিষয়টি মিলমিশ করে দেয় এবং আর কোনদিন এরকম কার্যকলাপে জড়াবে না বলে জানান। গত ১ বছর যাবৎ রিমা আক্তার রিমি (২৮) এর সাথে পুনরায় পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়। বিষয়টি জানতে পেরে এসআই জাকির’কে জিজ্ঞাস করলে এবং মেয়ের সাথে কথা বলতে নিষেধ করায় স্ত্রী সুমি’কে শারিরিক ও মানুষিক নির্যাতন করেন।
২১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা অনুমানিক ০৭.৩০ পটুয়াখালীর পলাচিপা থানাধীন সদর রোডস্থ হোটেল আদনান এর ৪র্থ তলায় ৪০৩ নং কক্ষে ওই মেয়ের সাথে খারাপ কাজে লিপ্ত হয়। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিক ও লোকজনের সহযোগীতায় এসাই জাকির ও মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরলে, এসআই জাকির স্ত্রী সুমি’কে মারধর করেন। খবর পেয়ে গলাচিপা থানা পুলিশ জাকির সহ ওই নারী এবং স্ত্রী সুমি’কে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনা সম্পর্কে জেনে এসআই জাকির এর কর্মস্থলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’কে অবহিত করে সবাইকে নিজ এলাকায় ফিরে যেতে বলেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, আমি ভোলা আসার পরে জাকির আমাকে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। পরবর্তী’তে আমি ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দেওয়ায় তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এবং ভোলা জজ কোর্টে যৌতুক নির্যাতন আইন মামলা নং- সিআর ২/২৪, ও নারী নির্যাতন আইন, মামলা নং- জি.আর ১৬১/২০২৪ ভোলা মামলা করি।
কিছুদিন পরে এসআই জাকির তার পরিবার সহ আমার বাসায় এসে প্রতিশ্রুতি দেয় যে আমি ঐ মেয়েকে তালাক দিব আপনারা তালাকের ব্যবস্থা করেন। পরবর্তী’তে এ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান এর মাধ্যমে তালাকের ব্যবস্থা করি এবং সে তালাক দেয়। পরে মামলাটি উঠানোর জন্য একটি আপোষ নামা আমাকে দেয়।
আপোষ নামা পরে আমি মামলা গুলো উঠাইয়া ফেলি। মামলা উঠানোর পরে সে পুনরায় আমাকে মারধর ও টাকা পয়সার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের সাথে দেখা ও বিভিন্ন হোটেল রাত্রী যাপন করে। আমি তা জানতে চাইলে আমাকে মারধর করে।এ বিষয়ে জানতে এসআই জাকির হোসেন’কে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন টি রিসিভ করেননি।