ফয়সাল হাওলাদার : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। কাজ করে যাচ্ছেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কে দুর্নীতি মুক্ত করতে। আর সেই কাজ করতে গিয়েই বিভিন্ন ফেডারেশন ও মাঠগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে তাকে।
যা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি প্রকল্পে দুর্নীতি ও লোপাট চোখে পড়ছে তার। এই অবস্থায় নিজের অবস্থা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছেন- মনে হচ্ছে আমাকে নিয়ে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকান বরাদ্দের বিষয় গুলো দেখতে যান উপদেষ্টা। যা দেখতে গিয়ে রীতিমতো হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এর পর নিজের পর্যবেক্ষণ জানিয়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।
তিনি লিখেছেন- ‘মনে হচ্ছে, আমাকে নিয়ে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে। আজ এনএসসির অধীনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।২০- ২২ টাকা/বর্গফুট হিসেবে এনএসসির কাছে ভাড়া গেলেও সরেজমিন গিয়ে জানতে পারলাম, দোকান গুলো ১৭০-২২০ টাকা/বর্গফুট করে ভাড়া দিচ্ছে। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে সরকার। অর্থা ভাবে ফেডারেশন চলছে না, টুর্নামেন্ট হয় না, মাঠের সংস্কার হয় না। অথচ বছরের পর বছর এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি গেছে।
এদিন স্টেডিয়াম মার্কেট পর্যবেক্ষণ শেষে দোকান মালিকদের দেওয়া বাড়তি অর্থ কী ভাবে অসাধু কর্মকর্তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। একইসঙ্গে দোকান বরাদ্দে প্রতি বর্গফুট ২০-২২ টাকা হারে ভাড়ার চুক্তি বদলের কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ দুর্নীতির মুলহোতা ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. মহিউদ্দিন।
তিনি যোগদান করার পর থেকে স্টেডিয়ামে দোকান বরাদ্দার নামে দুর্নীতি, সারা দেশে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি প্রকল্পে হরিলুট করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সচিব ড. মহিউদ্দিন অবৈধ পথে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে এবং নিজের স্বার্থের কারণে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।
তিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে এক বান্ধবীর মাধ্যমে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন। ময়মনসিংহের এক প্রাথমিক শিক্ষিকার সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন ড. মহিউদ্দিন। তার মাধ্যমে নামে – বেনামে বিভিন্ন জায়গায় শত শত কোটি টাকা জমি কিনেছেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রে পাচার করেছেন শত শত কোটি টাকা। এবার তার বিরুদ্ধে দুদক সহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত শুরু করেছেন।