• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যা খাওয়ানো হচ্ছে রোগীদের

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ / ২১৮ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহে চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি। এতে ভর্তি হওয়া অনেক রোগী হাসপাতাল থেকে দেওয়া খাবার খেতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে একই ঠিকাদার কাজ করায় এমন অনিয়ম হচ্ছে বলে মনে করছেন হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা। অতিরিক্ত লাভের আশায় ঠিকাদারি হাশেম আলী প্রভাবশালী হওয়ায় তার নিম্মমানের খাবার সরবরাহ করছে।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের সকালে সাগর কলা ও পাউরুটি দেওয়া হয়েছে। দুপুরে দেওয়া হয়েছে ভাত, পাঙ্গাস মাস ও ডাল। রাতে দেওয়া হবে পাউরুটি, সাগর কলা, ডিম ও রোগী প্রতি ১০০ গ্রাম করে গুড়া দুধ।

…হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সপ্তাহে শনি, সোম এবং বুধবার এ তিনদিন পাঙ্গাস ও সিলভারকার্প মাছ দেওয়া হয়। রোববার দেওয়া হয় খাসির মাংস। এছাড়া মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার দেওয়া হয় ফার্মের মুরগির মাংস। এছাড়া সাধারণ রোগী ১৭৫ জন, পেয়িং বেডের রোগী ৬০ জন এবং কেবিনের ১৫ জন রোগীর জন্য প্রতিদিন সকালে পাউরুটি ও সাগর কলা এবং রাতে পাউরুটি, সাগর কলা, ডিম ও ১০০ গ্রাম করে গুড়া দুধ দেওয়া হয় খাওয়ার জন্য।

তবে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের দরপত্রে উল্লেখ রয়েছে, প্রতি রোগীকে খাওয়ার জন্য সপ্তাহে শুক্রবার ও রোববার খাসির মাংস, তিনদিন (পর্যায়ক্রমে) দেশি ও ফার্মের মুরগির মাংস, রুই মাছ, কাতল মাছ, পাঙ্গাস এবং সিলভারকার্প মাছ দিতে হবে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, অতিরিক্ত লাভের আশায় রোগীদের সপ্তাহে একদিন খাসির মাংস, সপ্তাহে তিনদিন ফার্মের মুরগির মাংস এবং পাঙ্গাস ও সিলভারকার্প মাছ ছাড়া কিছুই দেওয়া হয় না। আবার মসুর ডাল দেওয়া হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজির দরের। কিন্তু বিল করা হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা করে।

…নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, কোনো সময়ই রোগীদের রুই বা কাতল মাছ খাবার দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকাদার তাদের যে খাবার এনে দেন, সেগুলোই রোগীদের খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়া রোগীদের গাভীর দুধের বদলে দেওয়া হচ্ছে ১০০ গ্রাম করে গুড়া দুধ। এতে করে অনেক রোগীই এগুলো খেতে চান না। এছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডাবের ব্যবস্থা রাখার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না।

কিন্তু বিল করার সময় ঠিকই গাভীর দুধ, রুই মাছ, কাতল মাছ, দেশি মুরগির বিল করা হচ্ছে। আর এর ভাগ যাচ্ছে হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারী পর্যন্ত। আর এসব দেখাশোনা করেন প্রভাবশালী তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারী। এদিকে দুপুরে প্রতিদিন সবজি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...