• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিভাগীয় সমাবেশ নিঃ স্বার্থ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা সীমান্তের বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্যের ভাতিজা ইয়াবাসহ আটক আওয়ামীপন্থী পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় ময়মনসিংহের ওসি সফিকুল ইসলাম ভাড়া বাড়িতে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ, মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা যুবদল নেতা হত্যা মামলায় পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী কারাগারে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ

ময়মনসিংহে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সাংবাদিকদের হয়রানি

সংবাদদাতা / ১৯৫ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেশ- বিদেশে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে তখনই বেরিয়ে আসছে তলের বিড়াল। সরকারের আইনটি নিশ্চয়ই জনগণের উপকারের জন্য করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি এই আইনটিকে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যবহার করে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের কাজ করছে। পরবর্তীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের সমালোচনার সুযোগ পাচ্ছে বিদেশী কূটনীতিকরা। যেকারণে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের মাধ্যমে চাপে পড়ে সরকার। তেমনি এক নাটের গুরুর সন্ধান পাওয়া গেছে ময়মনসিংহে।

মোঃ ইদ্রিস খান। যার রাজনৈতিক পদের দরকার নেই। তিনি সকল দলের আশীর্বাদপুষ্ট গভীর ষড়যন্ত্রকারী। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নিজেকে সব জায়গায় ত্রিশালের সংসদ সদস্য রুহুল আমীন মাদানীর জামাতা পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন। তার বিরুদ্ধে কেউ দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করলেই প্রভাব বিস্তার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপ-ব্যবহার করেন।

তিনি এ পরয়ন্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কি পরিমাণ মামলা দায়ের করেছেন আবার কি পরিমাণ মামলা মানুষকে দিয়ে করিয়েছেন তার হিসেব নাই। অথচ, তিনি একটি পত্রিকার সম্পাদক বলে পরিচয় দিয়ে বেড়ান। যদিও পত্রিকাটির মালিকানা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক । পত্রিকার মূল মালিক সকল ষড়যেন্ত্র রুখে দিয়ে শীঘ্রই আইনের আশ্রয় নিয়ে পত্রিকাটি উদ্ধার করবেন বলেও জানা গেছে। অথচ তিনিই পেশাদারীত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে একের পর এক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করেছেন গভীর ষড়যন্ত্রও। এক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি।

তিনি ভাল করেই জানেন সরকারকে কিভাবে বেকায়দায় ফেলতে হয়। সেজন্যই তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশ ডিজটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে। অথচ, ঘটনা ঘটাচ্ছে মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক আর চাপে পড়ছে বাংলাদেশ সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কিত যে মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে ময়মনসিংহের সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আব্দুল কাইয়ুমের ঘটনা ও উল্লেখ রয়েছে। আর এই আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিল ইদ্রিস খান।

যুক্তরাষ্ট্রের লিংক: https://www.state.gov/reports/2019-country-reports-on-human-rights-practices/bangladesh/ শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট ও প্রতিবাদ জানিয়েছিল, লিংক https://www.ifj.org/media-centre/news/detail/category/asia-pacific/article/bangladesh-activists-arrested-under-internet-and-digital-security-law ।

তাছাড়া বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের প্রতি। অপরদিকে সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক নাগরিক মো. খায়রুল আলম রফিকের বিরুদ্ধে ও এই ইদ্রিস খান একেরপর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। যে কারণে সারাদেশ জুড়ে প্রতিবাদ ও নিন্দা অব্যাহত ছিল। যদিওবা আদালত খায়রুল আলম রফিককে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এদিকে দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর প্রকাশ বন্ধ করতে খায়রুল আলম রফিককে একের পর এক হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই ইদ্রিস খান। প্রভাবশালী মহল দিয়ে ফোনের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে এবং একে বারে শেষ করে দিতে চায়। এই দুর্নীতিবাজ ইদ্রিস খানের বিরুদ্ধে শতশত অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করার পর যেভাবে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছে, বিগত সরকার এভাবে দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার পর পর কয়েকবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় বিরোধী দলগুলোর গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। বিপুল জনমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে কোনোভাবেই ভাগে আনতে পারছে না দেশের প্রধান বিরোধী দল। এজন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার-প্রচারণ চালাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের এই রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড কে দমন করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করা হয়। আর এই সুযোগে ইদ্রিস খান নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে উঠেপড়ে লেগেছে। যদিওবা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। বাক স্বাধীনতা হরণের জন্য নয়। এ আইনে কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে তা তদন্তের জন্য নির্ধারিত সেলে পাঠাতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি জেলা প্রশাসকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপ-ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেন। ইদ্রিস খানের মতো এমন কিছু ব্যক্তির কারণে আইনমন্ত্রী ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু অপ-ব্যবহার করা হয়েছে। আইনটির প্রয়োগের বিষয়ে বিধি করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে বিধির মাধ্যমে সুরাহা না হলে আইন সংশোধন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...