মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ– মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগরে গভীর রাতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এক যুবককে মারধরের ঘটনায় শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও মামলা না নেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন লিপি বেগম।গত ২২ জুন শনিবার রাতে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী গ্রামে সংঘঠিত ঘটনায় শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লিপি বেগম এর।
মারধরের স্বীকার রাকিব হাওলাদার (২৪) জানান, তাদের প্রতিবেশী মনির হাওলাদারের ঢাকার পোস্তগোলার বাসায় চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে সন্দেহ করে গত ২২ জুন রাত বারটার দিকে মনির হাওলাদারের বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে নানা ভাবে কথা বলে কৌশলে তাকে চোর অপবাদ দিয়ে আজাহার হাওলাদার, মনির হাওলাদার ও আইয়ূব আলীসহ বেশ কয়েকজন মিলে তাকে মারধর শুরু করে।
একপর্যায়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে তাদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। পরে তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।এই ঘটনায় পরদিন রাকিব হাওলাদারের মা লিপি বেগম বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেন বলে জানান।
প্রতিবেশী’রা জানায়, রাকিব’কে ডেকে কোন প্রমাণাধী ছাড়া চুরির অপবাদ দিয়ে নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়ে এভাবে তাকে মেরে রক্তাত্বজখম করা উচিত হয়নি। বাদিনী মামলার এজাহার উল্লেখ্য, ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/ ধারায় দেখা যায় আসামি করা নামে ১) আজাহার হাওলাদার (৬০) ২) মনির হাওলাদার (৫৮) উভয় পিতাঃ- মৃত মোকাজ্জল হাওলাদার ৩) আইয়ুর আলী শেখ (৫২) পিতাঃ- মৃত আব্দুল শেখ ৪) সাদ্দাম (৩০), পিতাঃ- সিদ্দিক শেখ সর্ব সাং- বিবন্দী, পোঃ বিবন্দী, উপজেলা: শ্রীনগর, জেলাঃ- মুন্সীগঞ্জ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আজাহার হাওলাদার বলেন, রাকিব ঢাকায় মনির হাওলাদারের কারখানায় কাজ করতো। এর সূত্র ধরে মনিরের বাসায় যাতায়াত ছিল। সেখানে চুরির ঘটনা নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মারধরের বিষয় টি সঠিক নয়। এ বিষয়ে জানতে আইয়ূব আলীর মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এবিষয়ে আইনজীবীর এডভোকেট আলী মোহাম্মদ বলেন, গোয়েন্দা ডিবি কার্যালয়ে মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।