দক্ষিণে জাপোরিজ্জিয়া ও পূর্বে বাখমুত রণক্ষেত্রে পাল্টা আক্রমণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাফল্য পাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। এই সাফল্যের মধ্যেই তারা রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়ায় আক্রমণ জোরদার করেছে। রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সদর দপ্তরে হামলার পর দিন শনিবার ক্রিমিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে শেয়ার করা ছবিতে আকাশে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
সেভাস্তোপলের রাশিয়াপন্থি গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ টেলিগ্রামে বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনীয় হামলায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে তিনি শুধু বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ শহরের বিভিন্ন স্থানে পড়েছে। ‘ক্ষেপণাস্ত্রের বিপদ’ শিরোনামে পরবর্তী পোস্টে সতর্ক করে তিনি বলেছিলেন, বাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখতে হবে। অন্য এক বার্তায় তিনি বলেন, আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শঙ্কা রয়েছে।
টেলিগ্রামের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটিতে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছে। টানা দুদিনের হামলায় স্পষ্ট হচ্ছে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রিমিয়া ও রাশিয়া কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরকে লক্ষ্য করে আক্রমণ জোরদার করেছে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। এখানে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহর মোতায়েন রয়েছে। মস্কোর এই দখলকে স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রুশ সেনাদের দখল থেকে ভূখণ্ডটি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সূত্র : নিউজউইক।