এম এইচ শান্ত, বাগেরহাট: পাবনায় নির্মানাধীণ রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্যের আরও একটি চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ২.৩০ টায় বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে দুই হাজার ৫২২ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে রুশ পতাকাবাহী ‘এম ভি ইয়ামাল ওরল্যান’ জাহাজটি নোঙ্গর করে। জাহাজটিতে ১৭ জন রাশিয়ান নাবিক রয়েছেন।
মালামাল খালাস করে জাহাজটি ভারতের উদ্দেশ্যে বন্দর ত্যাগ করবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করে। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং এজেন্টের খুলনার ব্যবস্থাপক অপারেশন সাধন কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত মাসের ২৮ তারিখ জাহাজটি রাশিয়ার নোভরোসিস্ক বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ছেড়ে আসে। জাহাজটিতে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৩০০ প্যাকেজের দুই হাজার ৫২২ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য আনা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে থেকে এই পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে এসব পণ্য সড়ক পথে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সর্বশেষ গত ৭ মার্চ রূপপুরের জন্য রাশিয়া থেকে এক হাজার ২০০ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য আনা হয়। এর মাঝে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে রাশিয়া থেকে সরাসরি আসতে না পারায় ভারত ট্রানজিট হয়ে মোংলা বন্দরে আসে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন ধরণের মালামালের কয়েকটি চালানও।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে ৭টি জাহাজ কোম্পানীর ৬৯টি জাহাজে রুপপুরের পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে রুপপুরের পণ্য নিয়ে সরাসরি মোংলা বন্দরে আসছে। আর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে ভারতের হলদিয়া বন্দরে খালাস করছে, পরে তা বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় সেখান থেকে সেপণ্য আসছে মোংলা বন্দরে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, দেশে নির্মানাধীণ প্রায় সব মেগা প্রকল্পের মালামাল বিশেষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে। দ্রুত সময়ে আধুনিক পদ্ধতিতে দক্ষ জনবল দিয়ে এসব পণ্য খালাস হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।