লৌহজং প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলা গাঁওদিয়া ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড অপর গ্রামে শুক্রবার সকালে ১৪ বছর মেয়ে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন কে অবগত কর হলে উপজেলা প্রশাসন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বিয়ে বন্ধ করে দেয় এবং বর,কনের পিতা – মাতা কে মুচলেকা প্রদান করে ছেড়ে দেওয়া হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লৌহজং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আরাধনা রানী কর্মকার।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, আরো জানা যায় উপজেলার গাঁওদিয়া ঘৌলতলী বাজার সংলগ্ন অপর গ্রামের রাস্তায় পাশে শেখ বাড়িতে টুম্পা ( ১৪) নামে এক মেয়ের বাল্যবিবাহ আয়োজন করেন পিতা মোঃ মিলন ও মাতা পলি বেগম। যথারীতি বিয়ে বাড়ির গেট সাজানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় বাল্যবিবাহ হচ্ছে ১৪বছরের মেয়ের।
বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সাবেক মেম্বার রতন এতে সহযোগিতা করেছেন।পরে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বর্তমান গাঁওদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ৯ নং গাঁওদিয়া সাধারণ সদস্য মোঃ শাহ আলম বেপারি বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হলে তিনি জানান বিয়ে বিষয়টি তার জানা ছিলো না।সত্য বলছি ব্যাপারে কিছুই জানে না।
লৌহজং উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কায়েসুর রহমান জানান, বাল্যবিবাহের তথ্য পেয়ে লৌহজং থানা পুলিশ ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা’কে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। কনে ও বরপক্ষের পিতা মাতা মুচলেকা দিয়েছেন।
মুচলেকা উল্লেখ করা হয় মেয়ের বয়স ১৮ হলে তারা বিয়ে দিবেন এর আগে কোন বিয়ে আনুষ্ঠানিকতা করা হলে এবং ছেলের সাথে সংসার করার খবর পাওয়া গেলে অভিভাবকদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।