তুষার আহাম্মেদঃ – মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাদরাসা এক ছাত্রকে (১৩) বলাৎকারের অভিযোগে বেলায়েত হোসেন নামে এক শিক্ষককে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (২৮ আগষ্ট) দুপুরের দিকে তাকে আদালতে হাজির করলে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-৬ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জশিতা ইসলাম আসামীকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। এর আগে গেলো রোববার রাতে শিক্ষক বেলায়েত হোসেনকে আটক করা হয়। পরে রাতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্র জানায়, উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের দারুল উলুম সিংহের হাটি কওমি মাদরাসার শিক্ষক বেলায়েত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তাকে বলাৎকার করে আসছিল। গত রমজানে ভর্তি হওয়ার পর হতে ওই শিক্ষক তার পাশেই রাতে ঘুমাত। এই সুযোগে শিক্ষক প্রায় রাতেই তাকে বলাৎকার করত। এর আগে গত ১৩ আগস্ট ওই শিক্ষক তাকে আবারও বলাৎকার করার চেষ্টা করে। এ সময় সে বাধা দিলে শিক্ষক বঁটি দিয়ে গলা কাটার ভয় দেখিয়ে তাকে বলাৎকার করে।
পরের দিন সে বাড়ি চলে এলে ওই শিক্ষক তাকে বাড়ি থেকে আবারও মাদরাসায় নিয়ে যায় এবং ঘটনা কাউকে বলেছে কি না জানতে চায়। অন্য ছাত্রদের সামনে বাজে মন্তব্য করে। এ ঘটনায় অন্য ছাত্ররাও তাকে খারাপ মন্তব্য করত। এতে সে বিব্রত ও লজ্জা বোধ করে। এরপর পরীক্ষা শেষে মাদরাসা বন্ধের কারণে গত বৃহস্পতিবার সে বাড়ি চলে আসে। গেলো রবিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক নিজেই ছাত্রের দক্ষিণ মশদগাঁও গ্রামের বাড়িতে চলে আসে তাকে মাদরাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।
এ সময় ওই ছাত্র যেতে না চাইলে শিক্ষক তাকে জোর করে নিয়ে যেতে চায়। পরে ছাত্র বিষয়টি তার বোনকে জানায়। এ সময় বোনের ডাকে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে শিক্ষক বেলায়েত হোসেনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে লৌহজং থানার পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে লৌহজং থানার ইনচার্জ খন্দকার ঈমাম হোসেন জানান, প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় বলাৎকারের মামলা নেওয়া হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।