মোহাম্মদ দুদু মল্লিক,(শেরপুর):
শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের পদার্থ বিভাগের এক শিক্ষকের সঙ্গে এক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেন। ঘটনার পর কলেজ অধ্যক্ষ বিষয়টি শিক্ষার্থীদের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক- ছাত্রীর অনৈতিক প্রেমের সম্পর্কের আলাপন সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে শুরু হয় গুঞ্জন সবার মূখে, মূখে। পরে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বুধবার রাতে ৩০ লাখ টাকা কাবিনে দুই সন্তানের জনক অভিযুক্ত শিক্ষক মুইদ আহাম্মেদ এর সাথে ভুক্তভোগী- ছাত্রীর বিয়ে সম্পুর্ণ হয়।
তবে এ ঘটনায় ঐ শিক্ষককে শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এই নিয়ে শহরে ব্যাপক গুঞ্জন উঠেছে। কলেজ সুত্র জানায় অভিযুক্ত শিক্ষক মুহিতের সাথে একই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী তার কাছে প্রাইভেট পড়ার সূত্রে আসা-যাওয়ার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক পর্যায়ে বিষয়টি দৈহিক সম্পর্কে পর্যন্ত গড়ায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও ছাত্রী বিষয়টি বান্ধবীদের জানালে এক পর্যায়ে ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অধ্যক্ষ উভয় পরিবারকে বিষয়টি জানালে দুই পরিবারের সম্মতিতে গত ১১ই সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাউজিয়া আমিন দিনা সাংবাদিকদের জানান বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।