মোঃ মনির হোসেনঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয় রাজধানী ঢাকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারিদের গ্রেফতার এবং বিভিন্ন মাদক স্পট ও আস্তানা উচ্ছেদে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করে আসছে । এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মোহাম্মদ মামুন এর নেতৃত্বে ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সকল সদস্যের সমন্বয়ে একটি টিম একযোগে ২২ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন বড়ইতলা শ্যামপুর ওয়াসা রোড আরবি স্টিল মিল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্যামপুর- কদমতলীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি মোছাঃ জরিনা বেগম (৫৬), স্বামীঃ মোঃ দেলোয়ার হোসেন’কে গ্রেফতার করে।
এসময় আসামী মোছাঃ জরিনা বেগম (৫৬) এর নিকট থেকে ০২ গ্রাম হেরোইন এবং ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। শ্যামপুর বড়ইতলা, রেল লাইনের পার্শ্বে, ওয়াসা রোড আরবি স্টিল মিল সংলগ্ন, কদমতলী, মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। শ্যামপুর- কদমতলীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি জরিনা দীর্ঘদিন ধরে শ্যামপুর, কদমতলী ও যাত্রাবাড়ি এলাকায় একটি গ্যাং তৈরি করে ইয়াবা, হেরোইন ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করে আসছিল মাদক ব্যবসায়ী জরিনা বেগম।
জরিনা বেগম ও তার পরিবার এবং সহযোগীরা মিলে বড়ইতলা এলাকায় মাদকের আস্তানা গড়ে তোলে। মোছাঃ জরিনা বেগম এবং তার দুই ছেলে রাব্বি (২৫) মোঃ রোহান (২২) এর বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৬ টি মাদক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জরিনা বেগম (৫৬) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫ টি মামলা রয়েছে। জরিনা বেগমের দুই ছেলে ও অন্যান্য সহযোগীরা বর্তমানে পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যহত আছে। ইতোপূর্বে গত ৫ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয়ের ডেমরা সার্কেল জরিনা বেগম’কে ৩০ (ত্রিশ) গ্রাম হেরোইন সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন।
এসময় জরিনা বেগমের দুই ছেলে কদমতলী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী রাব্বি (২৫) ও মোঃ রোহান (২২), মেয়ে মোসাঃ তানিয়া (২৪) এবং কদমতলী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মোঃ চাঁন বাদশা (২৩), পিতাঃ মোঃ রুবেল ওরফে অন্তর (২৬), পিতাঃ মোঃ বাবু ও মোঃ রিয়াজ (১৯), পিতাঃ মৃত আঃ রহমান এর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৭০- ৭৫ জন মহিলা ও পুরুষ ইট- পাথর ও লাঠিসোটা নিয়ে অভিযানিক দলের সদস্যদের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে সিপাই হাফিজুর রহমান মারাত্মক জখম করে এবং জরিনা আক্তার ওরফে মোছাঃ জরিনা বেগম (৫৬)’কে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গত ১০ জুলাই ২০২৪ তারিখ জরিনা বেগমের মাদক আস্তানা উচ্ছেদে ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা, ২৫০ গ্রাম গাঁজা এবং মাদক বিক্রির ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা সহ জরিনা বেগমের ৪ জন সহযোগী’কে হাতেনাতে গ্রেফতার করা গেলেও জরিনা বেগম ও তার মেয়ে তানিয়া পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন আসামী জরিনা বেগম ও তার পরিবার এবং সহযোগী’রা গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও আসামীদের গতিবিধি অনুসরণ করে আজ অভিযান চালানো হয়।