দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দশমিনায় মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণের নামে উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য সংগ্রহকারী মো. বুলবুলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই অফিসের আয়োজনে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিন ব্যাপী “মাছের আহোরণত্তর পরিচর্যা ও সংরক্ষন কৌশল” বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষনে উপজেলার ৫০ জন মৎস্যজীবী অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের প্রত্যেককে সম্মানী ভাতা বাবদ ১ হাজার ২শ টাকা করে দেয়া হয়। পরে তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য তথ্য সংগ্রহকারী বুলবুল ১৮ জনের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে ২শ করে মোট ৩ হাজার ছয়শত টাকা নেয়।
প্রশিক্ষনার্থী করিম হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, বুধ ও বৃস্পতিবার প্রশিক্ষণ গ্রহন করি। প্রশিক্ষন শেষে আমাকে ১হাজার ২শ টাকা দেয়। তথ্য সংগ্রহকারি বুলবুল আমার কাছ থেকে ২শ টাকা রেখে দেয়। আমি মৎস্য অফিসারকে বললে তিনি বলেন আমি বিষয়টি দেখবো।
এদিকে, রবিবার (৯ জুন) ২৫ জন জেলে নিয়ে পরবর্তী ব্যাচের দুইদিন ব্যাপি একই প্রশিক্ষণ শুরু হলে সরেজমিনে দেখা যায় অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থীই প্রকৃত জেলে নয়। তারা দশমিনা বাজারে বিভিন্ন ব্যবসা করেন। অফিসটির তথ্য সংগ্রহকারী বুলবুলকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে এমন তালিকা করা হয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বুলবুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মিলন বিশ্বাস বলেন, বুলবুল জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কি না জানিনা। রবিবার দুপুরে প্রশিক্ষণ চলাকালীন উপজেলা মৎস্য অফিসার বলেন যারা জেলে নন তারা দুপুরের পর ট্রেনিং সেন্টারে আসবেন না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বৃস্পতিবার প্রশিক্ষন শেষে একজন প্রশিক্ষনার্থী আমাকে জানায় বুলবুল আমাদের ১৬ জনের কাছ থেকে ২শ টাকা করে নিয়েছেন। আমি তাৎক্ষণিক বুলবুল’কে ডেকে টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেই।
প্রশিক্ষনার্থীদের অধিকাংশই জেলে নয় এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীকে দিয়ে তালিকা করিয়েছি এমন হলে যাচাই-বাছাই করে সংশোধন করা হবে।