মোঃ বনি আমিন (কেরানীগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ ৯ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ মাঝরাত আনুমানিক ০২:৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০। র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় ডিএমপি ঢাকার শাহবাগ থানাধীন সেগুন- বাগিচা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে উল্লেখিত মামলার ১০ নং এজাহার নামীয় আসামী ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের থানা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম আহম্মেদ নীরব (২৯), পিতাঃ- মৃত আরদশ আলী, সাং- নতুন বাক্তারচর, কোন্ডা ইউনিয়ন, থানাঃ- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলাঃ- ঢাকা’কে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত জুলাই ২০২৪ হতে দেশব্যাপী কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। অতঃপর উক্ত আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, আইনজীবী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। কোটা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শ্রেণীর নেতা কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র- জনতার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে।
যার অংশ হিসেবে গত ১৪ আগস্ট ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ইস্টার্ন বাজার এলাকায় ছাত্র- ছাত্রী’রা শান্তিপূর্ণ ভাবে কোটা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করা কালে বেশ কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, চাপাতি, হকি স্টিক এবং লাঠি- সোটা সহ বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র- জনতার উপর এলোপাথাড়ি আক্রমণ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছাত্র- জনতার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।
এছাড়াও ছাত্র-জনতার যৌক্তিক কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’কে বানচাল করার জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী ছাত্র- ছাত্রী সহ একাধিক আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও গুজব রটায় এবং তাদের’কে গুম ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। অতঃপর উক্ত ঘটনায় মোঃ বাসার আহম্মেদ, পিতাঃ- মৃত আব্দুল গোফরান, সাং- নতুন শুভ্যাড্ডা, থানাঃ- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলাঃ- ঢাকা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় জসীম আহম্মেদ নীরবসহ ৩০১ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও শতাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং- ০৬/৫৩৫ তারিখ-১৫/০৮/২০২৪ খ্রি.; ধারা-১৪৩/৩৪১/১৪৭/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ তৎসহ ৩/৪ বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইন-১৯০৮। মামলা রুজুর বিষয় টি জানতে পেরে জসীম আহম্মেদ নীরব সহ অন্যান্য আসামী’রা আত্মগোপনে চলে যায়।