মোঃ মাইনুল হক, বিশেষ প্রতিনিধি: সাংবাদিকরা রাস্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ, তবুও তাদের সুরক্ষায় কোনো আইন নাই রাস্ট্রের। সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে সাংবাদিকদের। সাংবাদিক সুরক্ষায় আলাদা আইন করেনি। বরং মুক্ত সাংবাদিকতার টুটি চেপে ধরতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে।
সাংবাদিকদের মূল নীতিই হচ্ছে নিরপেক্ষতা, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার হওয়া। সাংবাদিকরা কোন সরকারের আমলেই সুরক্ষিত নয়। জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে এসব কথা বলেছেন বক্তারা।
জামালপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের সন্ত্রসী হামলায় নিহত বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম ও ৭১ টিভির সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার দ্রুত বিচার দাবীতে নীলফামারীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১টায় নীলফামারী জেলা শহরের ডিসির মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু চত্বরে ওই কর্মসূচির আয়োজন করে নীলফামারী প্রেসক্লাব। ঘন্টা ব্যাপাী মানববন্ধনে নীলফামারী প্রেসক্লাবের সকল সদস্য ছাড়াও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধন শেষে সেখানে নীলফামারী প্রেসক্লাব সভাপতি তাহমিন হক ববীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহমদুল আল হাসান রাফিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নীলফামারী প্রেসক্লাব সহ- সভাপতি আতিয়ার রহমান বাড্ডা, ভূবন রায় নিখিল, মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাসান রাব্বী প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজরুল আলম সিয়াম,
আরও বক্তব্য বলেন, সৈয়দপুর প্রেসক্লাব সভাপতি সাকির হোসেন বাদল, দৈনিক প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি মীর আস্তাক, একাত্তর টিভির প্রতিনিধি বিজয় চক্রবর্তী কাজল, বাংলা নিউজ টোয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি আমিরুজ্জামান, নিউজ টোয়েন্টিফোরের নীলফামারী প্রতিনিধি আব্দুর রশীদ শাহ্,
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এশিয়ান টেলিভিশনের নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি মোঃ মাইনুল হক, দৈনিক আখিরা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি শাহাজাহান আলী মনন, নীলফামারী টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সাদ্দাম আলী ও সাধারণ সম্পাদক মামুন উর রশীদ মিঠু সহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও আঞ্চলিক, স্থানীয় সংবাদপত্রের কলম সৈনিকবৃন্দ।
বক্তারা নাদিম হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মূলতঃ প্রশাসনের অবহেলার কারণেই সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা করতে পেরেছে। জীবনের নিরাপত্তা চাইলেও পুলিশ নির্বিকার ছিল। এতে দুষ্কৃতকারীরা উৎসাহিত হয়েছে। তাই তদন্তে এবিষয় খতিয়ে দেখে দায়ীদেরকেও হত্যা মামলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সেইসাথে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোশকদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
তারা বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৪ আসামী গ্রেপ্তার হলেও ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ফাহিম ফরমান রিফাত সহ বাকী আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নাদিমের মা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব রাস্ট্রকে নিতে হবে।