• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সম্পদের হিসাব দিতে হবে রাজউক কর্মকর্তাদের গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবে ব্রিটেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিভাগীয় সমাবেশ নিঃ স্বার্থ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা সীমান্তের বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্যের ভাতিজা ইয়াবাসহ আটক

সালাম মুর্শেদীর সরকারি সম্পত্তি দখল, রাজউকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৮৮ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩

খুলনা- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ অনুসন্ধানে রাজউকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির অনুসন্ধান টিমের প্রধান তিনটি পৃথক নোটিশে তাদের আগামী ১৮, ২১ ও ২২ মে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১০মে) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রাজউক চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের সহায়তায় আব্দুস সালাম মুর্শেদী রাজধানীর গুলশান- ২ এর ১০৪ নম্বর রোডের ২৭/বি নম্বর বাড়িটি দখল করেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনা ও গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাদের আগামী ১৮, ২১ ও ২২ মে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। চিঠিতে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজউক চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের সহায়তায় আব্দুস সালাম মুর্শেদী রাজধানীর গুলশান- ২ এর ১০৪ নম্বর রোডের ২৭/বি নম্বর বাড়িটি দখল করেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনা ও গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাদের আগামী ১৮, ২১ ও ২২ মে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। তলব করা কর্মকর্তারা হলেন- রাজউকের সাবেক আইন উপদেষ্টা ড. মো. সেলিম, সহকারী আইন উপদেষ্টা মো. মনসুর হাবিব ও সাবেক সদস্য (এস্টেট) অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল নুরুল হককে ১৮ মে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ১১ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এছাড়া ২১ মে রাজউকের পরিদর্শক (এস্টেট) শাহ মো. সদরুল আলম, সহকারী টাউন প্ল্যানার মাহফুজুল কাদের, ডেপুটি টাউন প্ল্যানার কাজী গোলাম হাফিজ, উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) অমিত কুমার দেবনাথ ও টাউন প্ল্যানার জাকির হোসেন এবং ২২ মে রাজউকের পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি- ১) হাবিবুর রহমান, মো. নুরুল ইসলাম, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. খোরশেদ আলম ও সদস্য ভূইয়া রফিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুদক সূত্রে আরও জানা যায় , নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সালাম মুর্শেদীকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন গুলশান- ২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের সিইএন (ডি)- ২৭ নম্বর বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এমন অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ১১ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের আবেদন আমলে না নেওয়ায় একই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার সুমন।

রিট আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান- ২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৭/বি নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন। রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি এবং চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজউক চেয়ারম্যানকে দেওয়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়। নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সালাম মুর্শেদীকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন গুলশান- ২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের সিইএন (ডি)- ২৭ নম্বর বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এমন অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ১১ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের আবেদন আমলে না নেওয়ায় একই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার সুমন ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেওয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে সেটি দখল করে আছেন, রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাখ্যা চেয়েছিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সেই চিঠি আমলে না নেওয়ায় ৪ জুলাই আবারও চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে সেটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দেওয়া হলো, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন।

রিটের শুনানি শেষে গত ১ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে ১০ দিনের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান ও আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে হলফনামা আকারে নথি দাখিল করতে বলা হয়। একই সঙ্গে রুলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এর পরপরই কমিশন অভিযোগটি আমলে নিয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাতকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি টিম গঠন করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...