হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির বলেছেন- জনগণের মুখোমুখি হওয়ার কলিজা আওয়ামীলীগের নেই। তাই বাংলাদেশের রাজপথে জনগণ দেখলেই আওয়ামীলীগের কলিজা কেপে উঠে। নিরাপদ সড়ক চাই শিশুদের আন্দোলনই বলেন, আর বিএনপির আন্দোলনই বলেন, রাজপথে মানুষ দেখলেই আওয়ামীলীগ মনে করে এই বুঝি মতা চলে যায়। তাই বিএনপিকে রাজপথে নামতে দেয় না। পুলিশ দিয়ে বিএনপির কর্মসূচীতে বাধাঁ সৃষ্টি করে। আওয়ামীলীগ সম্পূর্ণরূপে প্রশাসন নির্ভর হয়ে পড়েছে। পুলিশ
প্রশাসন দিয়ে তারা জনগণকে দমিয়ে রাখতে চায়।
তিনি গতকাল রবিবার দুপুরে শহরের শায়েস্তাগনগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নজিরবিহীন লোডশেডিং ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিবাদে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির আরও বলেন- সরকারের লাগামহীন দূর্নীতির কারণে বাংলাদেশে বৈদেশিক রেমিটেন্স আসা কমে গেছে, ডলারের সাথে টাকার মূল্য কমে গেছে। তাই গ্যাস আমদানি করতে সরকারের হাতে ডলার নেই।
গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন- বাংলাদেশের এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সমতা রয়েছে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার মেঘাওয়াট। কিন্তু বাংলাদেশের পিক আওয়ারে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যাবহারের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মেঘাওয়াট। তার মানে ৮ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো অলস পড়ে থাকে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সরকার তাদের পছন্দের লোক দিয়ে স্থাপন করেছে।
তাদের সাথে যে চুক্তি হয়েছিল ৩ বছরের, এখন সেই চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রায় ২২ বছর করা হয়েছে। এ জন্য সরকারকে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিককে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট হিসেবে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা পেমেন্ট করতে হচ্ছে। এই ক্যাপাসিটি বিল পেমেন্ট করতে গিয়ে পাকিস্তান দেওয়ালিত্বের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। সেই পাকিস্তানকে অনুস্বরণ করে বাংলাদেশ সরকারও আজ দেওয়ালিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে।
মোক্তাদির বলেন- আওয়ামীলীগ জনগণের সামনে পাকিস্তানকে গালি দেয়, আর উঠতে বসতে পাকিস্তানকে অনুস্বরণ করে। শেখ হাসিনা এ বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার পাঠিয়েছেন। অথচ বাংলাদেশের কোন সরকার অতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার পাঠায়নি। পাকিস্তানের ভুট্টুকে দাওয়াত করে কে বাংলাদেশের নিয়ে এসেছিলেন তাও বাংলাদেশের মানুষ জানে।
তিনি বক্তব্যের শুরুতেই পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে বলেন- আপনারা আমাদের বোনের নিকট যে টাকা দিয়ে আসেন এক মাস সংসার চালানোর জন্য, সেই টাকা ২০ দিনেই শেষ হয়ে যায়। তখন আমাদের বোনগুলো আফসোস করে বলেন- ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে যদি আপনাদের ঘরে আটকে রাখতে পারতেন, শাসন করেই হোক আর সোহাগ করেই হোক, তাহলে বাংলাদেশের এত বড় সর্বনাশ হতো না। লোটেরা আওয়ামীলীগ দেশের মতায় আসার সুযোগ পেতো না।
তিনি বলেন- ইনশাআল্লাহ, দেশনায়ক তারেক রহমানের হাত ধরেই আবারও দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হবে। সেই দিন আর বেশি দুরে নয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।#