• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিজিবি সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস নির্বাহী কমিটির সদস্য দিপু ভুইয়াকে নিয়ে কটুক্তি রূপগঞ্জে বিএনপির প্রতিবাদ সভা ঠাকুরগাঁও যুবমহিলা লীগের প্রাক্তন সভাপতি তাহমিন মোল্লার বানিজ্যের একাল ও সেকাল! সংস্কার ও নির্বাচনে বিরোধ নেই, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে: ফখরুল সীমান্ত ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি পেছাল নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, নিহত ৭৭ আজ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ভ্যাট-মুদ্রানীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ বিএনপির

কেজিতে বাড়লো ৬ টাকা ইউরিয়া সারের দাম

সংবাদদাতা / ২৬৬ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে এক কেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয় বলছে, ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি তে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশেও দাম বাড়ানো হয়েছে। পুনর্নির্ধারিত এ মূল্য আজ ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা। এর ফলে ৬ টাকা দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের ভর্তুকি ছিল মাত্র ১৫ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সারের মূল্য চার দফায় কমিয়ে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে পর্যাপ্ত সার কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে।

এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টন। ব্যবহার বাড়ার ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি বরং বেড়েছে। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন।

অন্যদিকে, বিগত এক বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম প্রায় ৩-৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সারে সরকারের ভর্তুকিও বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। ২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে ভর্তুকিতে লেগেছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা, সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেগেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।

আমন মৌসুম (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৬ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন, বিপরীতে বর্তমানে মজুত রয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন, যা প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় ১ লাখ টন বেশি। অন্যান্য সার যেমন টিএসপির আমন মৌসুমে চাহিদা ১ লাখ ১৯ হাজার টন, বিপরীতে মজুত ৩ লাখ ৯ হাজার টন, ডিএপির চাহিদা ২ লাখ ২৫ হাজার টন, বিপরীতে মজুত ৬ লাখ ৩৪ হাজার টন এবং এমওপির চাহিদা ১ লাখ ৩৭ হাজার টন, বিপরীতে মজুত রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টন।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...