• বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
স্ত্রীসহ সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা র‍্যাব বিলুপ্তিসহ জাতিসংঘের সুপারিশগুলোর বিষয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে আলোচনা থাকতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও চলতি মাসেই আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ওসি মনজুর কাদের ভুইঁয়াকে দ্রুত প্রত্যাহার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন আয়নাঘর দেখে ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’র কথা বললেন প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার নির্দেশেই গণঅভ্যুত্থানে নির্বিচারে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: জাতিসংঘের প্রতিবেদন গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ফিক্সিংয়ের দায়ে বাংলাদেশি স্পিনারকে ৫ বছর নিষিদ্ধ করল আইসিসি

ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে আলোচনা থাকতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও

সংবাদদাতা / ৫ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

অনলাইন  ডেস্ক:  মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের পর চতুর্থ রাষ্ট্রপ্রধান (সরকারপ্রধান)) হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যকালে এটিই হবে ভারতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রীর দ্রুততম সফর। সফর ঘিরে চলছে নানা বিশ্লেষণ। ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনা হতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সেটি আগেই জানিয়েছিল দিল্লি। বৃহস্পতিবারের ওয়াশিংটন-দিল্লি বৈঠকে এবার সত্যি হতে চলছে সেই গুঞ্জন। মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে অভিবাসন ইস্যুকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন দুই নেতা। ভারতীয়দের প্রত্যাবাসনে অমানবিক আচরণ বন্ধ করতে ট্রাম্পকে মানানোর চেষ্টা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি।

বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কামার আঘা বলেন, ভারতীয়দের জন্য এইচ-ওয়ান ভিসার বিষয়টিকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হবে। কারণ, অনেক বড় পরিসরে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেখানে রয়েছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানও ভারত থেকে প্রযুক্তিখাত সংশ্লিষ্ট জনবল চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগে এই ভিসা বন্ধ করতে চাইলেও এখন তিনি নিজেই দক্ষ জনবল চাচ্ছেন।

বাণিজ্য ইস্যুতেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটিতে। এর আগে, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম জাত পণ্য আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। যাতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে নয়াদিল্লিকে। মনে করা হচ্ছে, শুল্ক মওকুফের বিষয়ে দাবি জানাতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও, প্রতিরক্ষাখাত সংক্রান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে দুই দেশ; হতে পারে এলএনজি সংক্রান্ত চুক্তি।

ভারতের সাবেক কূটনীতিক অনুরাগ ত্রিগুনায়াত বলেন, স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম আমাদের রফতানি করা দু’টি প্রধান পণ্য। তারা ইরানের চাবাহার বন্দরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যা মধ্য এশিয়ার জন্য উদ্বেগজনক। একই সাথে এটি আফগানিস্তান এবং ভারতের যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিশ্চিতরূপেই বলতে পারি এই বিষয়গুলোতে আলোচনা হতে পারে। তবে, সব ছাপিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই বৈঠক সফল হবে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...