• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিজিবি সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস নির্বাহী কমিটির সদস্য দিপু ভুইয়াকে নিয়ে কটুক্তি রূপগঞ্জে বিএনপির প্রতিবাদ সভা ঠাকুরগাঁও যুবমহিলা লীগের প্রাক্তন সভাপতি তাহমিন মোল্লার বানিজ্যের একাল ও সেকাল! সংস্কার ও নির্বাচনে বিরোধ নেই, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে: ফখরুল সীমান্ত ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি পেছাল নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, নিহত ৭৭ আজ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ভ্যাট-মুদ্রানীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ বিএনপির

বিশ্বকাপের মাঠ পরিচিতি : আল বাইত স্টেডিয়াম

সংবাদদাতা / ১৬২ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২

অনলাইন ডেস্কঃ- আর মাত্র ৮ দিন বাকি, অতঃপর বেজে উঠবে দামামা, শুরু হবে লড়াই। মরুর দেশ কাতারে শুরু হবে ৩২ দেশের ফুটবল মহারণ। ৮টি রণাঙ্গনে হবে এই লড়াই। বিশ্বকাপের আগে শেষ ৮ দিনে জেনে নেব সেই আটটি রণাঙ্গন সম্পর্কে। যেখানে আজ থাকছে উদ্বোধনী ম্যাচের ‘আল বাইত স্টেডিয়াম।’কাতারের রাজধানী দোহা থেকে উত্তরপূর্ব উপকূলে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বন্দরনগরী হিসেবে পরিচিত আল খোর শহরেই অবস্থান আল বাইত স্টেডিয়ামটির। শহরের নামের সাথে মিল রেখে অনেকে একে আল খোর স্টেডিয়াম নামেও ডাকে। রাজধানী দোহা থেকে স্টেডিয়ামটির দুরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। ভৌগোলিক ভাবে সমুদ্র তীরবর্তী শহর হওয়ায় আল খোরের বাসিন্দাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস সমুদ্র থেকে মুক্তা আহরণ এবং মাছ শিকার। কাতারের যাযাবর সম্প্রদায় নোমাডিক জনগোষ্ঠীর মানুষ মূলত এই অঞ্চলেই বসবাস করে। আর তারা যে ধরনের তাঁবুতে বসবাস করে তার নাম বাইত আল শাহ’আর। আর এই নাম থেকেই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে আল বাইত স্টেডিয়াম নামে। পাখির চোখে দেখলে পুরো স্টেডিয়ামকে একটি তাঁবুর মতোই মনে হবে। নজরকাড়া ডিজাইন এবং অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি এই স্টেডিয়ামকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে তাঁবুর স্বাভাবিক রং যেমন লাল, সাদা এবং কালো রংকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রথম এই স্টেডিয়ামটির নকশা তৈরি করা হয়। এরপর ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেডিয়ামটির কাজ শুরু হয়। সর্বশেষ আরব কাপকে মাথায় রেখে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়। ২০২১ সালের আরব কাপের ফাইনালসহ মোট ৫ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এই স্টেডিয়ামে। প্রাকৃতিক পরিবেশের কথা মাথায় রেখে স্টেডিয়ামটি নির্মাণে সব পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য স্টেডিয়ামটি গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি এসেসমেন্ট থেকে ‘ক্লাস এ’ স্বীকৃতি পায় এবং বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ফিফার সুপ্রিম কমিটি থেকেও গ্রিন সিগনাল পায়। স্টেডিয়ামটিতে পার্কিং ব্যবস্থাও বিশ্বমানের। প্রায় ৬ হাজার প্রাইভেট কার, ৩৫০ বাস একসাথে পার্কিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বকাপের দর্শক এবং ফ্যানদের কথা চিন্তা করে কাতারের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৫০ পাবলিক বাস এবং ১ হাজার ট্যাক্সি, ওয়াটার বাস নিয়মিত যাতায়াত করবে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে। স্টেডিয়ামটির মোট ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। কিন্তু বিশ্বকাপ শেষে এর ধারণক্ষমতা কমিয়ে ৩২ হাজারে নামিয়ে আনা হবে। সেই জায়গাতে হাসপাতাল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল বানাবো হবে। বিশ্বকাপ শেষে কাতার কর্তৃপক্ষ স্টেডিয়ামটি স্বল্পোন্নত এবং অনুন্নত দেশগুলোর জন্য বরাদ্দ করবে। যাতে তারা স্টেডিয়ামটির সব সুযোগ সুবিধা এবং অবকাঠামো ব্যবহার করার সুযোগ পায়। ২০ নভেম্বরের কাতার বনাম ইকুয়েডরের প্রথম এবং উদ্বোধনী ম্যাচসহ বিশ্বকাপের মোট ৯ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...