সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ- কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলের নৌকা ঘাট হয়ে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া পাড়ি দেওয়ার সময় মাঝ পথে নৌকা ডুবির ঘটনায় ৪৮ জন নারী- পুরুষ উদ্ধার করেছে, তার মধ্যে ৩ জন নারী মৃত্যু অবস্থায় উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) ভোর ৬:০০ টার সময় এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড। এ সময় ২ শিশু সহ অন্তত ৩৭ জন নারী- পুরুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত ৩৮ জনের মধ্যে ৩ জন মহিলার লাশ ও উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশী ৪ দালাল চক্র ও আটক হয় বলে জানান কোস্টগার্ড।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজারের ঈদগাহ ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রশিদ আহমদের পুত্র: আব্দুল্লাহ (২০) মহিশখালী কুতুব জুম ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের পুত্র:কোরবান আলী (২৪) টেকনাফ কাটা বনিয়ার বাসিন্দা হাসান আলীর পুত্র: শহিদ উল্লাহ (৩০) মহিশখালী কুতুবজুম তাজিয়া কাটা ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা করিম উল্লাহর পুত্র: মোঃ সেলিম। এ সব মালয়েশিয়াগামী ৮৫ জন যাত্রীর মধ্যে রয়েছে ২০ জন রোহিঙ্গা নারী ৫৯ জন রোহিঙ্গা পুরুষ ও ২ শিশু ছিল।
উদ্ধার করা মহিলারা হলো, সমজিদা (১৫) পিতা: নুরুল আমিন জাদিমুরা শালবাগান ক্যাম্প ২৬ রুকিয়া (১৪) পিতা: বাচা মিয়া ক্যাম্প ২৬ রহিমা খাতুন (২৮) পিতা: মুসলিম মিয়া কুতুপালং ক্যাম্প ৩ জমিলা খাতুন (২২) পিতা: ফজল আহমদ উম্মে হায়ের (১৩) পিতা: মোঃ গণি মিয়া, ইসমতা’রা (১৩) পিতা: আনোয়ার ক্যাম্প (১) দিল কায়েস (২০) পিতা: দিল মোহাম্মদ ক্যাম্প (১৯) থাইংখালী। সাবেদা খাতুন (২২) পিতা: জয়নাল আবেদীন ২২ নং ক্যাম্প এদিকে শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ জানান, কোস্টগার্ডের পাশাপাশি আমাদের সঙ্গীয় ফোর্স মোবারক ইমরান ছালা উদ্দিন সহ অনেকেই উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন।
মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গারা বলেন আমরা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫৯ জন পুরুষ ২০ জন নারী ২ জন শিশু ও ৪ জন বাংলাদেশী দালাল নিয়ে, সাগর পথে মালয়েশিয়া যাত্রা করলে মাঝ পথে ফিশিং ট্রলার ডুবি ১১ জন মহিলা কুলে পৌঁছে আসি তার মধ্যে ৩ জন মহিলা ১ জন শিশু মৃত্যু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এদিকে টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে’ কমান্ডার আশিক আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সাগর পাড়ে মালয়েশিয়াগামী কিছু নারী- পুরুষ অবস্থান করছে। কয়েকদিন আগেই তারা টেকনাফের সাবরাং ও উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন নৌকা ঘাট থেকে ফিশিং ট্রলারে আনুমানিক ৮৫ জন মত মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গা বঙ্গপসাগরে যায়, পরে মাঝ পথে ফিশিং ট্রলার ডুবি নিখোঁজ রয়েছে অনেকেই, উদ্ধারকৃতদের পরবর্তী উর্ধ্বতন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।#
Leave a Reply