• রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

লামায় আগুনে পুড়ে ৩ টি পরিবার এখন খোলা আকাশ নিচে

সংবাদদাতা / ২০০ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড মেউন্দা মুসলিম পাড়া আগুন লেগে একটি বাড়ির ৩টি বসতঘর পরিবার সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পরিবার টি খোলা আকাশ নিচে। ঘটনাটি মেউন্দা মুসলিম পাড়া গ্রামে নুরুল আলম (৬৫) পিতা – মৃত ছৈয়দ আহমদ এর বাড়িতে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সময় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাড়িতে কিভাবে আগুন লেগেছে তা সূত্র কারু জানা নেই। তবে প্রাথমিক ভাবে ঘরে রান্না ছোলা থেকে আগুন লেগে বলে ধারণা করেন। প্রতিবেশী সাথে ঝগড়া ঝামেলা বিষয় জানতে চাইলে ২০১১সাল হতে বাঁশখালী এলাকায় থেকে আসা পর্যন্ত একদিনের জন্য ও ঝগড়া বিবাদ হয়নি এমন জানান বাড়ির মালিক নুরুল আলম ও স্ত্রী। তবে ঘরের ভেতর থাকা সব আসবাবপত্র সহ, নগত ৩০’হাজার টাকা, চাল,ডাল,ঘরের সব জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘটনা স্থলে পৌঁছানোর আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন কোনো ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা বলেন, সকাল সাড়ে ১১ টার সময় ঐ’বাড়ি থেকে হঠাৎ করে ধোয়া বের হতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে আগুন জ্বলতে থাকে এসময় আমরা প্রাথমিক ভাবে যে যার মতো করে বালতি দিয়ে পানি নিভানোর চেষ্টা করি এবং তৎক্ষনিক দূর্গম এলাকায় নেটওয়ার্ক না থাকায় ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কে খবর দিতে পারি নেই। আরো প্রতিবেশী আসতে আসতে আগুনে সব পুড়ে গেছে তবে নুরুল আলম সাথে এই এলাকায় কখনো কারু সাথে ঝগড়া ঝামেলা করতে দেখি নেই। বাড়ীর মালিক নুরুল আলম বলেন, সকাল কৃষক কাজে ফসল খেতে যায়, অল্প সময়ে ব্যবধানে স্ত্রী ও ছেলে বউ গরু নিয়ে পাহাড়ে যায়। আমার দুই ছেলে ফাইতং ইটভাটা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। বাড়ি আগুন পুড়া আগপর্যন্ত বাড়ি সদস্য কেউ ছিল না। প্রতিবেশীরা বাড়িতে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে তাড়াহুড়া করে বাড়ি কাছাকাছি এসে দেখি আমার বাড়ি আগুন পুড়ে শেষপর্যায়ে। বাড়ি ভিতরে থাকা পুরাতন এবং নতুন নতুন আসবাপত্র সহ স্বপ্ন হিসেবে বড় ছেলে তৈরি করেছি। পরিবার সব মিলে প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকা মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরিবার সদস্য’দের গায়ে যে কাপড় ছিল তা ছাড়া বাড়ির ও ঘরের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এই বাড়ি’তে ৩ টি পরিবার আমি একজন গরিব দিন মজুরী আমার স্ত্রী, মেয়ে নাতি ৪ জন’কে নিয়ে আমার সংসার। পরের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে যা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। একি বাড়িতে দ্বিতীয় পরিবার বড় ছেল ১. মোঃ রুবেল স্ত্রী ও ছেলে/মেয়ে ৫ জন নিয়ে আলাদা। ২. মোঃ শাহেদ স্ত্রী মেয়েসহ ৩ জন বিয়ে করে আলাদা থাকেন। বাড়ি মালিক নুরুল আলম ও স্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার একটি মাত্র বসত ঘর ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে ছেলে বউদের’কে নিয়ে আমি বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বাস করছি। এছাড়াও আমার ঘরে থাকা সকল মালামালও পুড়ে গেছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয়, লামা উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও সকল মানবতার সেবকদের সহযোগিতা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর চাই। ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক বলেন, ২ নং ওয়ার্ড বাড়ি আগুন পুড়ে গেছে খবর পেয়েছি পরিষদ পক্ষ থেকে চাউল বস্তু ও কম্বল দেওয়া হয়েছে।এদিকে খবর পেয়ে ফাইতং পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছায় এবং ফাঁড়ি ইনচার্জ ইনচার্জ শামিম শেখ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছায় বসত বাড়ির ঐ ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে বেশ ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...