1. mahadihasaninc@gmail.com : bdccrimebarta :
সুজানগরে দ্বিতীয় বিয়ে করায় পুলিশ সদস্য রাসেল বরখাস্ত - বিডিসি ক্রাইম বার্তা

সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন

সুজানগরে দ্বিতীয় বিয়ে করায় পুলিশ সদস্য রাসেল বরখাস্ত

সুজানগরে দ্বিতীয় বিয়ে করায় পুলিশ সদস্য রাসেল বরখাস্ত

পাবনা প্রতিনিধি: পুলিশের চাকুরী নিয়ে বিয়ে করে, ট্রেনিং শেষে চাকুরীতে যোগদানের পর এক সন্তান সহ অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করছে পুলিশ সদস্য রাসেল বিপি নং০০২০২৩৪৬৫৮। পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের খুশি খাতুন এই অভিযোগ করেন। খুশি খাতুন দুলাই ইউনিয়নের মোঃ আক্কাস আলী মেয়ে।

খুশি খাতুন ঢাকা স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন -২ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বরাবর সুবিচারের জন্য এক আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।খুশি খাতুনের অভিযোগ, সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মোঃ হেলাল মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লার সাথে পারিবারিক ভাবে গত ১৪.০৮.২০১৯ ইং তারিখে ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক স্থানীয় মৌলবীর মাধ্যমে উভয়ের পারিবারিক সম্মতিক্রমে ১৩ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করিয়া তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

পরবর্তীতে রাসেল পুলিশের ট্রেনিং শেষ করে বাড়ীতে আসার পর গত ১০.০৯.২০২১ ইং তারিখে মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রি কাবিন মূল্যে বিবাহের কার্য সম্পন্ন হয়। রাসেলের পুলিশের চাকুরী দেয়ার উদ্দেশ্যে তার বাবা নগদ ৭ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে খুশির বাবার কাছ থেকে নেয়। কিন্তু বিবাহের প্রায় ৪/৫ মাস পর থেকেই রাসেল অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্কে জড়ায় এবং খুশি খাতুন কে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করে।

বিবাহের ১ বছর যাবত রাসেলের বাড়িতে থাকলে তার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদের দ্বারা নানাবিধ অত্যাচারের শিকার হয়। তারা যৌতুকের জন্য আরো ৬ লাখ টাকার দাবি করে। তাদের অত্যাচার সহ্য করে স্বামীর বাড়িতে থাকার চেষ্টা করলেও অত্যাচারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য করে।এরপর থেকে রাসেল ও তার পরিবারের কেউই খুশি খাতুনের কোন খোঁজ খবর নেয়নি।

নিরুপায় হয়ে খুশি খাতুন তার ভাইয়ের সহযোগিতায় রাসেলের খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পায় রাসেল জোবাইদা খাতুন ওরফে ফারজানা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে ঢাকায় বাসা ভাড়া করে একেত্রে বসবাস করছে। ফারজানা পারভীন পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের সাহাদিয়ার গ্রামের মোঃ ফারুক হোসেনের মেয়ে। নিরুপায় হয়ে খুশি খাতুন পাবনা জেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৩ নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় সরেজমিনে রাসেলের বাড়িতে গেলে তার বাবা হেলাল মোল্লা জানান, ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে কিনা কিছুই জানেন না তিনি। তবে তার ছেলে বাড়িতে আসে না বলে জানান। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, রাসেল পুলিশের চাকুরীর আগে এলাকায় অনৈতিক কাজ কর্মের জন্য দীর্ঘ দিন পলাতক ছিলেন।

রাসেলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বিভিন্ন ধরণের আইন শিখানোর চেষ্টা করে ও তথ্য সংগ্রহ করে নিউজ করতে বলে এবং রাসেলের বাবা হেলাল মোল্লা নিউজ না করার জন্য টাকার অফার দেয়। খুশি খাতুনের বাবা মোঃ আক্কাস আলী জানান, মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা দিয়েছি রাসেলের চাকরির জন্য, সেই ছেলে এখন আমার মেয়েকে রেখে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে, এই কথা শুনতে পেরে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

আমার মেয়ে সুবিচারের আশায় পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছে। শুনেছি রাসেল কে চাকুরির থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। সেই সাথে রাসেলের চাকরির থেকে স্থায়ী ভাবে বরখাস্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে যথার্থ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন খুশি খাতুন।#

Please Share This Post In Your Social Media


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 bdccrimebarta.com