• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
হজযাত্রীদের সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান ধর্মমন্ত্রীর হজের প্রথম ফ্লাইটে গেলেন ৪১৯ যাত্রী সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মাদক মুক্ত স্মার্ট  উপজেলা গড়ার ঘোষনা দিলেন ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিব নির্বাচনে হারবে জেনেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে: শাহজাহান খান শাকিবের ‘তুফান’ যেনো বাংলার কেজিএফ ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ মুন্সীগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে পুলিশকে মারধর, সাংবাদিকের ওপর হামলা কেন্দ্রে ভোট কেনার সময় টাকাসহ চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার ফের পেছাল আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার প্রতিবেদন পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি যুবক নিহত

পলাশবাড়ী রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ

Reporter Name / ৩৩ Time View
Update : রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী তে শুরু হয়েছে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (টিআইডিপি৪) এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউআরসি/ টিআরসিতে ৩ দিন ব্যাপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ।

এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকদের ( শিক্ষক ) জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে মোটা অংকের টাকা বাঁচিয়ে নিম্নমানের প্রশিক্ষণ উপকরণ প্রদান সহ প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াত ভাতা কম দেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে পলাশবাড়ী উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর রবিউল ইসলাম এঁর বিরুদ্ধে।

অনেকেই বলছেন এই কাজে সহযোগিতা করছেন একই অফিসে প্রায় ১ যুগ থেকে কর্মরত সহকারি ইন্সট্রাক্টর সোহেল মিয়া। আর ডি পি পি এর বাজেটে দেখা যায়, প্রতিটি প্রশিক্ষণে দুই জন করে ট্রেনার থাকবে, প্রতি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য তথ্যপত্র, একটি কলম, একটি প্যাড, নেম কার্ড এর জন্য বারাদ্দ ৫০০ টাকা ও প্রতি প্রশিক্ষণার্থী একটি করে ব্যাগ বাবদ ৫০০ টাকা বরাদ্দ। প্রশিক্ষণ হবে মোট ৩২ টি। যেখানে প্রশিক্ষণার্থী থাকবে প্রতি ব্যাচে ৩০ জন করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রেস থেকে ছাপানো একটি তথ্যপত্র যার মূল সর্বোচ্চ ১০০-১২০ টাকা, একটি ১৫/২০ টাকা মূল্যের কলম, একটি নেম কার্ড খরচ ১০ টাকা, একটি ২০/৩০ টাকা মূল্যের প্যাড এবং প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য একটি করে ব্যাগ যার বাজার মূল্য আনুমানিক

( সর্বোচ্চ ) ৩০০ টাকা। যা সর্বমোট গিয়ে দাঁড়ায় ৪৫০-৪৬০ টাকা। কিন্তু এসব বাবদ বরাদ্দ আছে ১০০০ (এক হাজার) টাকা। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রতি প্রশিক্ষণার্থীর বাজেট থেকে গায়েব করা হচ্ছে ৫৫০-৫৪০ টাকা। ৩২ ব্যাচে মোট প্রশিক্ষণার্থী থাকবে ৯৬০ জন। যাদের (প্রশিক্ষণার্থী) বাজেট থেকে গায়েব করা হবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।

এখানেই শেষ নয়, বাজেটে দেখা যায় প্রতি প্রশিক্ষণার্থী প্রতিদিন খাবার পাবে ২৮০ টাকার, অনুসন্ধান বলছে প্রশিক্ষণ শুরুর প্রথম দিনই শুধু দেয়া হচ্ছে এই খাবার, বাকী দুই দিন দেয়া হচ্ছে শুধু নাস্তা যার মূল্য ২৫- ৩০ টাকা।তবে ইন্সট্রাক্টর রবিউল ইসলাম বলছেন বাকী দু’দিন খাবারের পরিবর্তে নগদ টাকা দেয়া হবে।

প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকরা বলেন,পরিপত্রে দেখা যায় ৩০ জনের ব্যাচে যাতাযাত বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৫০০০ টাকা,দু’জন ট্রেইনার ও ৩০জন প্রশিক্ষণার্থী যাদের প্রত্যেকে ২৩৪৩ টাকা পাওয়ার কথা থাকলে সেখানে প্রশিক্ষণার্থীদের দেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা, তিন দিনে ৭৫০ টাকা। প্রশিক্ষণার্থীদের অনেকেই জানান,সকাল ৯ টায় প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

উপজেলা শহর থেকে যারা ২০-২২ কিলোমিটার দুর থেকে আসেন তাদের সকাল ৭টার সময় বের হতে হয়,এত সকালে যানবাহন কম পাওয়া যায় তাই যানবাহন রিজার্ভ নিয়ে আসতে হয়, সেখানে তিন দিনে ২০০০-২২০০ টাকা খরচ হয়,অথচ যাতাযাত ভাতা পাই তিন দিনে সর্বোচ্চ ৭৫০ টাকা। এতে করে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ হয়।

সব মিলে কয়েক লক্ষ টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে ইন্সট্রাক্টর রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকরা আরো জানান, প্রশিক্ষণ শেষে আমাদেরকে যা দেয় তাই নিতে হয়, শিক্ষা অফিসার(ভারঃ) আরজুমান আরা গুলেনুর জানান,এটা শিক্ষা অফিসের দেখার বিষয় নয়,তাদেরকে আমরা শুধু তালিকা দেই,বরাদ্দের বিষয়টা তারাই দেখে।

সহকারী ইন্সট্রাক্টর সোহেল জানান কোন অনিয়ম হয়নি। উল্টোপাল্টা নিউজ করলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। ইন্সট্রাক্টর রবিউল ইসলাম জানান, বরাদ্দ অনুযায়ী সবকিছু দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা কেউ কেউ বাড়ী থেকে খাবার নিয়ে আসেন,তাই তাদের খাবারের পরিবর্তে নগদ টাকা দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, যেদিন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন হয়েছিল সেদিন গিয়েছিলাম,বরাদ্দের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category