• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

রাজধানীর মিরপুরে পত্রিকার আড়ালে চলছে অবৈধ রিক্সা বাণিজ্য

বিশেষ প্রতিনিধিঃ / ৪০ Time View
Update : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাজধানীর মিরপুরে বাংলার দূত নামে একটি পত্রিকার আড়ালে চলছে অবৈধ রিক্সা বাণিজ্য।ঘটনার সূত্রে জানা যায় রাজধানীর মিরপুরে বাংলার দূত পত্রিকার স্টিকার বানিয়ে অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সার সিটে লাগিয়ে দেয়া হয় মাসিক (দুই হাজার) টাকার বিনিময়ে। নাম সর্বস্ব এই বাংলার দূত পত্রিকার আড়ালে চলছে রিক্সা বাণিজ্য, ভূমিদস্যু তা, ফুটপাতে চাঁদাবাজি, অবৈধ দখলদার, মানব পাচার ও মাদক নিয়ন্ত্রণসহ নানান অপকর্ম। এতে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলার দূত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পরিচয়দানকারী তুহিন ভুঁইয়া ও বিশেষ প্রতিনিধি আসমত আলী। গত ২৩ এপ্রিল মিরপুর দিয়াবাড়িতে ট্রাফিক সার্জেন্ট তানজিলের নেতৃত্বে অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়, এতেই বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। অবৈধ অটো রিক্সার সিটের নিচে লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায় বাংলার দূত নামে পত্রিকার স্টিকার। একে একে বাংলার দূত, ও আলোর পথিক সংগঠনের নামে বেরিয়ে আসতে থাকে অবৈধ অটোরিকশা। সমাজ তান্ত্রিক দল হাসানুল হক ইনুর জাসদ এর মশাল প্রতীক দিয়ে অনুমতি বিহীনভাবে আলোর পথিক সংগঠনর তৈরি করা হয়।

এ বিষয়ে আমরা জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল হক সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান জাসদ একটি মেহনতী মানুষের দল এ দল কোনভাবেই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না এ ব্যাপারে আমরা আইনানুগ ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। এবং এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই সিনিয়রদেরকে অবগত করা হয়েছে।অবৈধ অটোরিকশা ধরার অভিযান চলাকালীন অবস্থায় সেখানে এসে উপস্থিত হন বাংলাদেশের প্রথম অনুমতিপ্রাপ্ত আইপি টেলিভিশন ও সরকার নিবন্ধিত আওয়ার নিউজ টুয়েন্টিফোর এর প্রতিনিধি দল। মুভি বাংলা টিভির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্টাফ রিপোর্টার কৌশিক আহমেদ এবং তার নেতৃত্বেই বাংলার দূত পত্রিকা ও আলোর পথিক সংগঠনের নামে অবৈধ রিক্সা বাণিজ্যের একটি লাইভ সরাসরি সম্প্রচার হয়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ভূমিদস্যু রিক্সা কারবারি চোরাকারবারি মাদক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণকারী ও মানবপাচার কারী হিসাবে পরিচিত বাংলার দূত পত্রিকা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (তুহিন ভূইয়া)

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই তুহিন ভূইয়ার নেতৃত্বে চলে বেশ কয়েকটি অনুমোদনহীন গণমাধ্যম। বাংলার দূত পত্রিকাটি ছাপানো হয় না দীর্ঘদিন যাবত। তুহিন ভূইয়ার অবৈধ বাণিজ্য গুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি অবৈধ প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে একটি নয় দুটি নয় বেশ কয়েকটি অবৈধ প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই তুহিন ভুঁইয়ার।এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে ভীষণ বাংলা ২৪.কম তদন্ত বিচিত্রা, বাংলার দূত, নির্বাণ, ভিশন ইনস্টিটিউ, আই এল টিএস কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, ভিশন গ্লোবাল কনসালটেন্সি, ই হক কোচিং সেন্টার ইত্যাদি। এতসব প্রতিষ্ঠান সবই চলে জড়াজীর্ণ একটি ছোট্ট ঘরে। এক সময় ই হক কোচিং সেন্টার নামে ব্যবসা শুরু করলেও তুহিন ভূঁইয়ার এ ব্যবসায় ভাটা পড়ে। এরপরেই তিনি আশ্রয় নেন পত্রিকার এবং প্রতারণা করার।

নাম সর্বস্ব এই পত্রিকার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় ডি এফ পির আওতাধীন এই পত্রিকার সার্কুলেশন প্রত্যেকদিন প্রায় ৪০ হাজার পিস কিন্তু আমরা সরজমিনে প্রিন্ট প্রকাশক ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হলে জানতে পারি দীর্ঘ প্রায় দুই বছর যাবত এই পত্রিকাটি ছাপাই হয় না। পত্রিকায় উল্লেখিত প্রকাশনা অফিসের ঠিকানায় যোগাযোগ করলে আমরা জানতে পারি শান্তিনগরে ১৩৭ নং হাউসে বাংলার দূত পত্রিকার কোন অফিস নেই। সেখান থেকে ফিরে এসে আমরা যোগাযোগ করি ডিসি অফিসে এখানে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তুহিন ভুইয়া সম্পর্কে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তুহিন ভূইয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জানানো হয় তুহিন ভূঁইয়া নামে পত্রিকা অফিসে এবং পত্রিকার কোন সম্পাদক কে উনা’রা চিনেন না। তাহলে ভুয়া সম্পাদকের পরিচয় দিয়ে এই তুহিন ভূঁইয়া নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে বাংলাদেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো আর্থিক সমস্যার কারণে প্রায় বন্ধ হতে বসেছে সেখানে কিভাবে এতগুলো প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন এই কথিত চাঁদাবাজ তুহিন ভূঁইয়া কি বা তার আয়ের উৎস।তুহিন ভূঁইয়ার এসব প্রতিষ্ঠান বৈধ নাকি অবৈধ এটি জানার জন্য মুভি বাংলা টেলিভিশনের একটি প্রতিনিধি দল কৌশিক আহমেদের নেতৃত্বে তুহিন ভূঁইয়ার প্রতিষ্ঠানে গেলে তুহিন ভূইয়া ক্ষিপ্ত হয়ে যান। পরবর্তীতে তুহিন ভূঁইয়া কৌশিক আহমেদকে ১নং আসামি করে কোটে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।এবং নাম সর্বোচ্চ পত্রিকা বাংলার দূত এর মাধ্যমে অপপ্রচার চালাতে শুরু করেন বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সরকার অনুমোদিত আইপি টেলিভিশন মুভি বাংলা টেলিভিশন ও মুভিবাংলার স্টাফ রিপোর্টার কৌশিক আহমেদ, রিপোর্টার জাহিদ হাসান মিশু, ও অমির বিরুদ্ধে।

তুহিন ভূঁইয়ার এসব অপকর্মের ফিরিস্তি এলাকার লোক জনের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন এখন থেকে কয়েক মাস পূর্বেও তুহিন ভূঁইয়া ও তার বাবা ছোট্ট একটি মুদি দোকান দিয়ে সংসার চালাতো।ক য়েক মাসের ব্যবধানে তুহিন ভুঁইয়া আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন এবং আলিশান জীবন যাপন করছেন।তুহিন ভূইয়ার আলাদিনের এইচ চেরাগ কোথা থেকে আসলো কিভাবে আসলো এ নিয়ে মাঠে নামলে জানা যায় জবরদখলবাজ, ভূমিদস্যুতা, রিক্সা বাণিজ্য, মাদক কারবারে নিয়ন্ত্রণ করেই তুহিন ভূঁইয়া হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া।

হাইকোর্ট থেকে অটো-রিকশা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও ট্রাফিক পুলিশের কোন কার্যক্রম বা ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি রাজধানীর মিরপুর জুড়ে। আরে সুযোগ এই রাজধানী জুড়ে অটো রিক্সা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন কথিত চাঁদাবাজ তুহিন ভুইয়া। আরেকটি সূত্রে জানা যায় গভীর তদন্তের মাধ্যমে তুহিন ভূঁইয়া মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে একাধিক সূত্র বলছে দীর্ঘ দিন যাবত মানব পাচারের প্রমাণ হিসেবে তার অফিসে যোগাযোগ করা হলে দেখা যায় অফিসের সামনেই তিনি একটি সাইনবোর্ড টানিয়েছেন এক লক্ষ টাকায় ইউরোপ পাঠানো হয়।

যেখানে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও সঠিকভাবে ইউরোপ কান্ট্রিতে যেতে পারছে না তাহলে মাত্র এক লক্ষ টাকায় কিভাবে ইউরোপ পাঠান এই তুহিন ভূঁইয়া। এ বিষয়ে অত্র এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান এটি মানব পাচারের একটি বড় কৌশল। হতে পারে এখনই এই তুহিন ভূইয়ার লাগাম টেনে না ধরলে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবেন এই তুহিন ভূঁইয়া। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় তুহিন ভূঁইয়া অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই ছেড়েছেন তাদের বসতভিটা ছেড়েছেন এলাকা গুটিয়ে নিয়েছেন ব্যবসা-বাণিজ্য। তুহিন ভূঁইয়া কে অতি শীঘ্রই আইনের আওতায় এনে এর বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

মুভি বাংলা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার কৌশিক আহমেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সত্য উদঘাটন করতে গিয়ে আজ আমি মামলা ও হেনস্তার শিকার হচ্ছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিকে অতিশীঘ্রই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক এটাই প্রত্যাশা আমার। এবং খুব শীঘ্রই প্রতিবাদ স্বরূপ আমি একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করব।

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category