1. admin@gmail.com : bdccrimebarta :
রাজশাহীতে শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা - বিডিসি ক্রাইম বার্তা

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ট্রাক সংকটে সারাদেশে পণ্য পরিবহনে জটিলতা সৃস্টি আহারে সাংবাদিক! আহারে সাংবাদিকতা!! স্থানীয় এমপি প্রার্থীর পক্ষ নেয়ায় নির্বাচন প্রভাবিত আশংকায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার শেরপুরে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী কানন গ্রেপ্তার যাত্রাবাড়ীতে দীপ্ত টিভির সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় আটক-২ ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি রংপুরে যুবলীগ নেতা’কে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি সাভারে সাংবাদিকের ওপর ঝাঁঝালো কেমিক্যাল নিক্ষেপ, এলাকা ছাড়ার হুমকি! নারায়ণগঞ্জে আনসার সদস্য নিজ হাতিয়ারের গুলিতে আত্মহত্যা শ্রীবরদীতে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় ধর্ষক গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

রাজশাহীতে শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

শেখ শিবলী রাজশাহী ব্যুরোঃ- গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকায় “রাজশাহীতে শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করালেন প্রধান শিক্ষিকা”- এই শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা ভিত্তিহীন ও প্রতিহিংসামূলক বলে দাবি করেছেন পবা উপজেলার হাড়ুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসী। শুক্রবার গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসী এ দাবি জানান। সেই সাথে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস আমার অনুমতি না নিয়ে অন্য এক নারীর দেহের সঙ্গে আমার মুখমন্ডল লাগিয়ে একটি টিকটক ভিডিও তৈরি করে তার ফেসবুকে ছাড়ে। ভিডিওতে মেয়েটিকে নাচতে দেখা যাচ্ছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে একজন পুরুষ মানুষ কথা বলছেন। ভিডিওটি সহকারী শিক্ষিকা তার নিজের ফেসবুকের স্টোরিতে দেন। তিনি যা করেছেন তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আওতায় পড়ে। সেই সাথে এমন অশালীন কর্মকান্ড যা তথ্য আইন ও সরকারী চাকুরীবিধি পরিপন্থী।

তিনি আরও জানান, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- তাকে কেউ কান ধরে ওঠবস করাননি। তার অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সহকারী শিক্ষিকা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ছবি এডিট করে টিকটক করে তার নিজের ফোনে মাই ডে পোস্ট করে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল। প্রধান শিক্ষিকা তিন দিনের ছুটিতে ছিলেন। গত ২৪ আগস্ট ছুটি শেষে স্কুলে যোগদানের পরে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন। এবং তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ করেন।

সেই দিন তাকে অফিসে সবার উপস্থিতিতে ডেকে পাঠালে শিক্ষিকা নিজের দোষ স্বীকার করে নিজের কানে হাত দিয়ে বলেন, এটা আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল, আমি মোবাইল চালাতে অদক্ষ না, আগামীতে এমন ঘটনা আর হবে না আমি এই সকল বিষয়ে সাবধান থাকবো। এসময় উনার ব্যবহারকৃত ফোনটি তার কাছে থেকে চাওয়া হয় যে, তার ফেসবুক থেকে পোস্ট গুলি রিমুভ করার জন্য।

আর তাতেই বাধে বিপত্তি। তিনি প্রধান শিক্ষিকা কে ফোনটা দিলেও আনলক করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কারন তার ফোনে প্যাটার্ন লক করা ছিলো। এসময় প্রধান শিক্ষিকা তার ফোনটি স্থানীয় মেম্বার মো: মুশফিকুর রহমান রাসেলের কাছে জমা রাখতে বলেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। তার ফোনটি এখনও মেম্বারের কাছেই জমা রয়েছে।

ওই দিন সহকারি শিক্ষিকাকে কারন দর্শানোর নোটিশ করায়। নোটিশে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না কেন, তার কৈফিয়ত আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রধান শিক্ষিকার কাছে প্রদান করার নির্দেশ দেয়া হয়। যার অনুলিপি, স্কুল সভাপতি এস এম সি কমিটিকে প্রদান করা হয়। তিনি শোকজ থেকে বাচার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। এবং গনমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।#

Please Share This Post In Your Social Media


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 bdccrimebarta.com