1. mahadihasaninc@gmail.com : bdccrimebarta :
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও পদোন্নতি পেয়েছেন মামুন মাহমুদ - বিডিসি ক্রাইম বার্তা

সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও পদোন্নতি পেয়েছেন মামুন মাহমুদ

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও পদোন্নতি পেয়েছেন মামুন মাহমুদ

আবুবকর সিদ্দিকঃ- ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হয়েও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ – পরিচালক ( প্রশাসন অর্থ ) হিসাবে কর্মরত রয়েছেন মামুন মাহমুদ। রাজধানীর ৬টি থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে জিডি ও মামলা। আদালত থেকে মুচলেকা নিয়ে সাময়িক মুক্তিও পেয়েছেন তিনি।

অপরদিকে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, বদলি বাণিজ্য, চাকরি দেয়ার নামে পোস্টিং দেয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ। বিএনপি সরকারের জামানায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর হিসাবে চাকুরি নেন। দীর্ঘ ২৬ বছর যাবৎ অর্থাৎ যুগ যুগ ধরে ঢাকার কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে নির্দিধায় চাকুরি করে যাচ্ছেন তিনি।

বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমেদের সাথে ছিল তার ঘনিষ্টতা। তার কারণে উপেক্ষিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রবিধিনামালা ২৫৭ – (১০০) ধারা। বিধান মোতাবেক একই স্থানে ৩ বছরের অধিক সময় এই কর্মস্থলে থাকা যাবে না কিন্তু সিনিয়রদের ডিঙ্গিয়ে পদোন্নতি মধ্যে চরম অসন্তোষ।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সিনিয়রদের ডিঙিয়ে জুনিয়রদের পদায়নের হিড়িক পড়েছে। পদোন্নতি-বদলি বাণিজ্যের মূল সিন্ডিকেট প্রধান তার সহযোগী ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামান। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ( প্রশাসন অর্থ ) মামুন মাহমুদের নামে বদলী বাণিজ্য, চাকরি দেয়ার নামে অর্ত আত্বসাত, পোস্টিং দিয়ে মোটা টাকা আদায় থেকে শুরু করে সকল পদে চাকুরি করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে রাজশাহীতে বদলী করা হয়। সেখানে মাত্র দেড় মাস কর্মরত থাকেন তিনি।

আবারও তদ্বিরের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্ভিসে ফিরে আসেন। নিজ জেলা নোয়াখালিতে কয়েক কোটি টাকার জমি রয়েছে তার ও আত্মীয় স্বজনদের নামে। এক যুগ ধরে কর্মচারিদের রেশনের সয়াবিন তেল বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ক্রয় দেখিয়ে সরবরাহ করেন। এতে স্টাফদের মাঝে চরম অসন্তোষ। মাষ্টার প্ল্যান করেন নিজস্ব লোক দিয়ে। এই করে কয়েক শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তার সিন্ডিকেট। অনুগত হয়ে না চললে বা তার কথায় না চললে অন্যত্র বদলি করেন।

অভিযোগ আছে নুরুজ্জামান এর মাধ্যমেই ঘুষ গ্রহন করেন তিনি। বিএনপি সরকারের আমলে চাকরি নেয়া মামুন মাহমুদের বিরুদ্ধে রমনা ২১২৮, শাহজাহানপুর জিডি নং- ১৩৮৯, মতিঝিল, ১৫৩৭ রমনা ১৩২৭, বংশাল ২০৪, সুত্রাপুর ১৪১৬ থানায় জিডি রয়েছে। তিনি ২৬ বছর যাবৎ ঢাকাতেই আছেন। নোয়াখালি জেলার জালিয়ান গ্রামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার। ঢাকার আদালতে ফৌজদারি মামলা নং ২০৪ /১৬, অপরটি ১১০/১২। বংশাল থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তারিখ ২৭/২/২০১৭ সাল থেকে। আদালতে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকার পরও মামুন মাহমুদ প্রমোশন নিয়ে হয়েছেন উপ – পরিচালক ডিডি।

উপরোক্ত ঘটনাায় সংশ্লিষ্টদের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উপ- পরিচালক মামুন মাহমুদ বলেন, এসব ঠিক না,আপনি অফিসে আসেন। সব মিথ্যা- নাটক।#

Please Share This Post In Your Social Media


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 bdccrimebarta.com