• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
অগ্রণী ব্যাংক শাখায় ১০ কোটি ১৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম ম্যানেজারসহ আটক ৩ দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত যুবলীগ নেতা আজম, হাসপাতালে ভর্তি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে বউভাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার দুই থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু শ্রীনগরে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩, ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ

প্রতারণা করে ২১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ আদালতে মামলা

Reporter Name / ১৪০ Time View
Update : শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

অন্তর আহমেদ নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ- নওগাঁয় অনলাইন দৈনিক বিডিসি ক্রাইম নিউজ পত্রিকায় চাকুরী দিবে বলে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে পত্নীতলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শামিউল আরিফ শাওন সহ নওগাঁর কথিত ৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে পত্রিকায় চাকরি প্রত্যাশী মানিক হোসন নামে এক যুবক বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর অনলাইন ”দৈনিক বিডিসি ক্রাইম নিউজ” নামক এক পত্রিকায় চাকুরী দেওয়ার কথা বলে কথিত সাংবাদিক মো.শহিদুল ইসলাম তার সহযোগী মো. আনিছুর রহমান, মো. জহুরুল হক ( কাজল), পত্নীতলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শামিউল আরিফ ( শাওন ) ও মাহবুব আলম ২০ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা আত্যসাৎ করেন।

বাদী মো. মানিক হোসন জানান, ”দৈনিক বিডিসি ক্রাইম নিউজ” পত্রিকায় চাকুরী দিবেন বলে আমাদের দশ জনের নিকট হতে ধামইরহাট উপজেলার আমাইতারা বাজার এলাকার বাচ্চু মন্ডলের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম, একই উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার রইচ উদ্দীনের ছেলে আনিছুর রহমান, নওগাঁ সদর উপজেলার মখরপুর এলাকার মোজাম্মেল হক এর ছেলে মো. জহুরুল হক (কাজল), পত্নীতলা উপজেলার চাঁদপুর এলাকার কাজী আবু হেনা মোস্তফা কামালের ছেলে পত্নীতলা উপজেলা প্রেসক্লাবের কথিত সভাপতি কাজী শামিউল আরিফ শাওন ও ধামইরহাট উপজেলার খেলনা এলাকার মো.ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. মাহবুব আলম তাদের কথিত প্রেসক্লাবের রুমে ২০ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা নেন।

এর মধ্যে আমার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার, মোশারফ হোসেন শান্তর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার, আরিফ হোসেন এর কাছ থেকে ২ লক্ষ, সবুজ হোসেন এর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার, সাব্বির হোসাইন এর কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৩ হাজার, সজিব হোসেনের কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার, রিমন হোসেন এর কাছে থেকে ১ লক্ষ. রফিকুল ইসলাম ও ময়েন এর কাছ থেকে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার, আজিজুল হকের কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ও মোছা. জেবা ফারহার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নেন। টাকা দেবার কিছুদিন পর যখন আমরা জানতে পারি বিডিসি ক্রাইম নিউজ নামক কোন পত্রিকা সরকারি মিডিয়াভূক্ত নয় এটি একটি ভুঁইফোঁড় পত্রিকা যার কোন ভিত্তি নাই।

আমাদের সাথে করে বিভিন্ন এমপি ও সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসে নিয়ে গিয়ে এক কপি পত্রিকা হাতে দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলতো তাঁরা এই পত্রিকার উপদেষ্টা। পরবর্তীতে আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাইলে শহিদুল ইসলাম গং বিভিন্ন সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম বলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি- ধামকি দেন। আমরা আমাদের টাকা ফেরত না পাওয়ায় আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।

দৈনিক বিডিসি ক্রাইম নিউজ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ”বিডিসি ক্রাইম নিউজ” পত্রিকায় ক্রাইম শব্দটি লিখা আছে বলে এই পত্রিকার অনুমোদন পাব না। যার কারণে আমাদের নতুন পত্রিকা ” দৈনিক বাংলার পাতা” নামক পত্রিকার আবেদন নওগাঁ ডিসি অফিসে করেছি যেহেতু নওগাঁর স্থানীয় পত্রিকা হিসাবে অনুমোদন নিব। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া বিষয়ে বলেন তিনি। আসলে টাকা পয়াসা আমি সে ভাবে কারো কাছে থেকে নেইনি।

মামলার বাদী মানিক হোসেন, মোশারফ হোসেন শান্ত ও সবুজ হোসেন আমাকে তাদের অফিসে কৌশলে নিয়ে গিয়ে মারার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমার কাছে থাকা ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেয় এবং জোর করে এভিডেভিড করে নেয়। সেই মুহূর্তেই আমার কাছে থেকে ফাঁকা চেক ও স্টাম্পে সই করে নিয়ে কিছু দিন পর আমার ধামুইরহাট বাসায় গিয়ে আমার মা বাবাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আবার ৩লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমার পত্রিকায় তারা নিজ থেকে কিছু টকা খরচ করেছে, আমি এই বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। তবে আমি কারো কাছে থেকে কোন টাকা গ্রহণ করিনি কেউ যদি প্রমাণ সাপেক্ষে আসে আমি তার টাকা দিয়ে দিব।

তবে কিছুদিন পূর্বে এহসানুল হক জুয়েল মানিক হোসেন, সবুজ হোসেন, জেবা ফারহার সহ আরো অনেকের কাছে থেকে পত্রিকায় চাকুরী দিবে বলে অনেক টাকা হাতীয়ে নিয়েছে। টাকা নেওয়ার পর যখন তাদের সাথে এহসানুল হক জুয়েল যোগাযোগ বন্ধ করে তালবাহানা শুরু করে তখন আমার কাছে ৪- ৫ জন লিখিত অভিযোগ করলে আমি এই বিষয়ে একটি ধামুরহাট থানায় অভিযোগ করেছি।

পত্নীতলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শামিউল আরিফ শাওনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।#

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category