• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন

শাল্লায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নিয়ে যাচ্ছে প্রতারক চক্র

Reporter Name / ১৭৭ Time View
Update : শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২

 

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : শাল্লায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপবৃত্তির টাকা মোবাইল থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেশকিছু অভিভাবক উপজেলা সদরে এসে হতাশ হয়ে পড়েন। কীভাবে মোবাইল থেকে টাকা উধাও হয়ে যায় জানেন না হাওরাঞ্চলের সহজ সরল অভিভাবকরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১০৭টি সপ্রাবি’র ১৪হাজার ৫শ’ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এটি ২০২১ সালের উপবৃত্তির টাকা। এরমধ্যে হাজারো শিক্ষার্থীর পোশাক ও উপবৃত্তির টাকা নগদ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রতারক চক্র। এতে অভিভাবকদের চাপে পড়েন শিক্ষকরা। নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা কীভাবে প্রতারক চক্র নিয়ে যাচ্ছে জানেন না খোদ শিক্ষকরাও। অনেক শিক্ষক জানান এনিয়ে আমরা বড় বিপদে আছি।

বাহাড়া ইউপির সুখলাইন গ্রামের সুরঞ্জিত দাস অনেকটা কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন আমি খুব গরিব মানুষ। আমার মেয়ে ইপন দাসের উপবৃত্তির ২হাজার টাকা মোবাইল থেকে উধাও হয়ে গেছে। কোন নাম্বারে নিয়েছে তাও জানেন না তিনি। এখন টাকা উদ্ধারের জন্য হন্য হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন সুরঞ্জিত দাস। ইপন দাস সুখলাইন সপ্রাবি’র ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সাংবাদিকদের পরামর্শে সেই নাম্বারটি খোঁজে পাওয়া যায়।

তবে ০১৯০৬৪৯৩৩৮৫ নাম্বারে যোগাযোগ করলে অফিস থেকে ভুল নাম্বার বলা হয়। হবিবপুর ইউপির কাশীপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম জানান তার সন্তানের উপবৃত্তির টাকাও মোবাইল থেকে কে বা কারা নিয়ে গেছে। শাল্লা ইউপির কৃষ্ণপুর সপ্রাবি’র প্রধান শিক্ষক সজল কান্তি তালুকদার বলেন আমার স্কুলের শিক্ষার্থী রাব্বি মিয়া, কানন দাস ও সুইটি আক্তারের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল থেকে ০১৮১০১৭৮৮০২ নিয়ে গেছে।

ওই নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে। মৌরাপুর সপ্রাবি’র প্রধান শিক্ষক বলেন আমার স্কুলের ২০-২৫জন শিক্ষার্থীর টাকা প্রতারণা করে নিয়ে যায়। অভিযোগ দেওয়ার পরে কিছুকিছু শিক্ষার্থীর টাকা ফেরৎও আসে। এখনো কতজন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পাননি জানেন না তিনি। তবে উপবৃত্তির টাকা মোবাইল থেকে উধাও হওয়ার একটি তালিকা তৈরি করছেন বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার রায় বলেন কতজন উপবৃত্তির টাকা পায়নি তার সঠিক সংখ্যা এখনো তার হাতে পৌঁছেনি। তবে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ৭আগস্টের মধ্যে তালিকা করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এব্যাপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন বিষয়টি আমি অবগত আছি। সপ্তাহ খানেক আগে আমি শিক্ষা অফিসারকে ডাকাইছি। নগদ থেকে কীভাবে টাকা চলে যাচ্ছে জানতে চেয়েছি। শাল্লার নগদের দায়িত্বে যে আছে তার সাথেও কথা বলেছি। সুনামগঞ্জে যে দায়িত্বে আছে তাদেরকে বলেছি, আপনাদের এদায় নিতে হবে। এসব কেনো হচ্ছে? আমার শাল্লার কোনো স্কুলে ২ লাখ, কোনো স্কুলে ৩লাখ এভাবে চলে যাচ্ছে।

পরে শিক্ষদের একটা দায়িত্ব দিয়েছি কোন নাম্বারে কত টাকা ট্রানজেকশন হয়েছে, তারিখ এবং আইডি থেকে। এই তথ্যটি একটি চক আকারে রেডি করে আমাকে দেওয়ার জন্য। এটি দেওয়ার পরে এগুলো নগদকে দিব। নগদ এই টাকা রিকভার করবে। নগদ যদি রিকভার না করে তাহলে নগদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।#

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category