• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

ত্রিশালে জালিয়াতি করে ছোট ভাইয়ের ফিলিং স্টেশনের মালিকানা দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

Reporter Name / ১৪৩ Time View
Update : বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

শান্ত পারভিন, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ত্রিশালে কাগজপত্র জালিয়াতি করে ছোট ভাইয়ের মালিকানাধীন ফিলিং স্টেশনের মালিকানা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। ত্রিশাল উপজেলার বাগান এলাকায় প্রতিষ্ঠিত মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশন নিয়ে এ দ্বন্দের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশনের কাগজপত্রে প্রকৃত মালিক সোহেল রানা। কিন্তু তার বড় ভাই আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে বদরোজ্জদা হায়দার অভি কাগজপত্র জালিয়াতি করে ওই স্টেশনটির ৪০ শতাংশ মালিকা দাবী করে। এই বিষয়ে সোহেল রানা ত্রিশাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল মান্নানের ছেলে বদরোজ্জদা হায়দার অভি নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সোহেল রানার মালিকানাধীন ফিলিং স্টেশনটি দখলে নিতে সোহেল রানাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বদরোজ্জদা মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশনের নামে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিয়ে আসছে, তারা এই ফিলিং স্টেশনটির মালিক।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, আমার বড় ভাইয়ের সাথে আমার ১৯ অক্টোবর ২০১১ সালে একটি চুক্তিপত্র হয়েছিল। ঐ চুক্তিপত্রের কয়েকদিন পরে ২৫ অক্টোবর ২০১১ সালে আরেকটি চুক্তিপত্র হয় এতে ফিলিং স্টেশনের পুরো মালিকানা আমার হয়ে যায়। পরে আমার বড় ভাই ও ভাতিজা বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে।

এ বিষয়ে আমি ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করি। ওসি স্যার দরবার করেছে। বড় ভাইকে বলেছে তার কাগজপত্র যতটুকু আছে তা মামলা করার মত নয়। আমার কাছে কোর্টের নোটারী সার্টিফিকেট আছে। আমার ভাই যে চুক্তিপত্র দেখাচ্ছে তার কোনো নোটারিও নেই। এমনকি আমার স্বাক্ষরও নেই।

অভিযোগকারী আব্দুল মান্নান বলেন, আমার কাছে সাক্ষীসহ চুক্তিনামা আছে। স্থানীয়ভাবে সংকট নিরসনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। সঠিক বিচার পেতে ত্রিশাল থানায় আমিও লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ সোহেলের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, থানায় দুই পক্ষকে ডেকে আনা হয়েছিল। বাদী ও বিবাদীর দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখেছি। আব্দুল মান্নানের চুক্তিনামার প্রথম পাতায় কারও স্বাক্ষর ছিলনা।

এ কাগজ দিয়ে কোন মামলা রুজু বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আব্দুল মান্নানকে বলেছি এখানে পুলিশের করার কিছু নেই। আপনি আদালতের ধারস্থ হতে পারেন। ফিলিং স্টেশনে কোনো প্রকারের বিশৃঙ্খলা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category