• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শার্শায় বাবা মায়ের উপর অভিমান করে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্যা গুজব ছড়িয়ে সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ পাপুলের শ্যালিকাকে বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন কর কর্মকর্তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে টিপু ও প্রীতি হত্যা মামলায় ৩৩ জনের বিচার শুরু মে মাসের দ্বিতীয় দিন থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী ফের বিয়ে করছেন শাকিব খান, বাড়ির দরজা বন্ধ অপু-বুবলীর জন্য ক্যাম্পাসে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ৯০০ কয়েক মিনিটেই নকল ‘স্মার্ট কার্ড’ বানায় দালাল চক্র

সওজ প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহর অভিযোগ তদন্ত করবে কি দুদক?

Reporter Name / ৪৮ Time View
Update : শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

বিশেষ প্রতিবেদক: সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ। অভিযোগ রয়েছে, কর্মজীবনের শুরু থেকেই দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে গড়েছেন সখ্যতা। সূত্রে জানা যায় ঢাকায় এলিফ্যান্ট রোড ও লালমাটিয়ায় বাড়ি ও ফ্ল্যাট (সপ্তক হক হেরিটেজ ১৬৯/১ এ্যালিফ্যান্টরোড ফ্ল্যাট সি-৭ ও ধানমন্ডি লালমাটিয়ায় ব্লক-বি ২/৪নং বিটি আই ফেয়ারভিউ) সরেজমিনে তার হদিস পাওয়া গেছে। শোনা যায় উত্তরায় রয়েছে অসংখ্য ফ্ল্যাট, ঢাকার অন্তত চারটি আবাসন প্রকল্পে রয়েছে নামে বেনামে ১৫ টিরও বেশি প্লট। লোক মুখে শোনাযায় নিজ স্ত্রী স্মরনী হকের নামেই এলিফ্যান্ট রোডস্থ সপ্তক হক হেরিটেজ বাড়িটির পুরো মালিকানা।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতনের এক প্রকৌশলী সংসার খরচ মিটিয়ে কিভাবে আনুমানিক তিন কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট কিনলেন? এর উপর তার নাকি রয়েছে কালো রঙের এক বিশাল দৈত্যাকার গাড়ি। ও টয়োটা ব্র্যান্ড দাম একটি গাড়ি, যার নম্বর (ঢাক মেট্রো-খ ২১-৫৯৫৮) নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহর যতো স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যখন যে বিভাগে কাজ করেছেন সে বিভাগেই নাকি একটা না একটা তেলেসমতি কান্ড ঘটিয়েছেন এ নির্বাহী প্রকৌশলী।

ঠিকাদার দিয়ে কুমিল্লার লালমাই পাহাড় কেটে মাটি বিক্রয় করার মদদ দেয়া, বসুরহাট করালিয়া সড়কের মাঝখানে গ্যাস রাইজার রেখেই রাস্তা ঢালাই দেওয়া, সাভারের সড়কে ভড় দুপুড়েও লাইটপোস্ট জালিয়ে রেখে বিদ্যুৎ অপচয় করা, মাসোহারার বিনিময়ে সড়কের জায়গায় ঠিকাদার কোম্পানির মালামাল রাখতে দেওয়া, মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সড়ক দখলদারদের কাছথেকে মাসোহারা নেওয়া, সিরাজগঞ্জে কর্মে গাফিলতি করা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে সওজের প্রকল্পকে অসুস্থ প্রকল্প বলে আখ্যা দেওয়া (যা সরকারি কর্মচারী আইনের বিধিমালা ভঙ্গ করে) কুমিল্লার মুরাদনগরের সরকারি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল করে অর্ধশতাধিক দোকান ঘর নির্মাণে বাধা না দিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করা ও দোকান ভাড়ার ভাগ নেওয়া সহ কর্মক্ষেত্রে এরকম অসংখ্য দূর্নীতি, অনিয়ম ও গাফিলতির রেকর্ড রয়েছে।

সওজ সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মনির হোসেন পাঠানের বিরুদ্ধে দুদক চালাচ্ছে অনুসন্ধান, ইতিমধ্যে মনির হোসেন পাঠান ও তার স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলাও রুজু হয়েছে। গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে । সাবেক সওজ প্রধান প্রকৌশলী মনির হোসেন পাঠানের বিশেষ আশির্বাদপুষ্ট প্রকৌশলী ছিলেন আহাদ উল্লাহ । সূত্রটি জানায় মি. পাঠান কুমিল্লা সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থাতেই মূলত কুমিল্লা সড়ক বিভাগ ,ফেনী সড়ক বিভাগ ও নোয়াখালী সড়ক বিভাগে শুরু হয় আহদুল্লাহর স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি। পরবর্তীতে মনির হোসেন পাঠান সড়কের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নিলে ব্যাপক অর্থের বিনিময়ে পোস্টিং পায় ঢাকা সড়ক বিভাগে। কুমিল্লা সড়ক জোনের বিভিন্ন সড়ক বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায় আহাদুল্লাহর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং ঢাকা সড়ক বিভাগে রাতারাতি পোস্টিং পাওয়ার ব্যাপারে মনির হোসেন পাঠানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে, তাকে পোস্টিং দিতে আমি কোন আর্থিক সুবিধার নেই নাই।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহর স্বেচ্ছাচারিতা, খামখেয়ালীপনার ফিরিস্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। সওজ সূত্রে জানা যায় সওজে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযানে ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহর নানান অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সওজ ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহর বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশের পূর্বে তার মন্তব্য জানতে তার মুঠোফোন একাধিক বার ফোন করা হলেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান আহাদ উল্লাহর বিষয়ে অভিযোগ পেলে সততার সাথে আমরা কার্যকরী ব্যবস্থা নেবো। ইতিমধ্যে দুর্নীতি অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় সওজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলছে এবং তারা সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন। দুদক সূত্র জানায় প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে তারা, যদিও সন্দেহ থেকে যাচ্ছে অভিযোগ তদন্তের মুখ দেখবে কি?

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category