• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন

সুস্থ বাচ্চা জন্মদানে কী করণীয়

Reporter Name / ১৫৮ Time View
Update : শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ অনেক নারীর একাধিকবার গর্ভপাত হয়। এ নিয়ে চিন্তিত অনেকে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে বারবার গর্ভপাত ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে বারবার গর্ভপাত ও এর প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ফিরোজা বেগম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।

সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. ফিরোজা বেগম বলেন, বারবার গর্ভপাত বলতে আমরা সাধারণত বুঝি যেটা, পরপর দুই বা তার অধিক যদি কারও বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। বাচ্চাটা নষ্ট হবে সাত মাসের আগে। তখনই তাকে আমরা বলি গর্ভপাত। এটা কারও দুবার হতে পারে, কারও তিনবার হতে পারে। কারও চারবার, পাঁচবার, ছয়বার; এমনকি সাতবারও আমি দেখেছি। দুইয়ের অধিক হলেই আমরা বারবার গর্ভপাত বলব।

যে মহিলাদের বারবার গর্ভপাত হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে যখন তিনি আবার গর্ভধারণ করবেন, পরবর্তীতে একজন সুস্থ শিশু হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের কী কী ধরনের আনুষঙ্গিক ব্যাপারগুলো মেইনটেইন করতে হয়? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ফিরোজা বেগম বলেন, অনেক কারণ রয়েছে। এক নম্বর যেটা বল, উনি ফিজিক্যালি ফিট কি না।আলট্রা সাউন্ড করে আমি তাঁর অরগান দেখে ফেললাম, সেটা একটা জিনিস। তাঁর বিভিন্ন টেস্ট করলাম, সেটা ভিন্ন জিনিস। কিন্তু আমি যেটার ওপর জোর দিতে চাচ্ছি, সেটা হলো ফিজিক্যাল ফিটনেস।

ডা. ফিরোজা বেগম বলেন, আমাদের দেশের মেয়েদের দেখা যায় অনেক বেশি মোটা। যদি বডির ওয়েট থাকে, তখন আমরা কমাতে বলি। দুই নম্বর হচ্ছে, তাঁর সাইকোলজিক্যাল প্রিপারেশন। যেমন একজন মেয়েকে যদি পরিবার থেকে বারবার মেন্টাল রিপ্রেশন করা হয়, তাহলে সেটাও কিন্তু নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট নিয়ে আসে বাচ্চার ওপর। আমরা তো সেটা চাই না। বাচ্চা হবে, সুস্থ-সবল বাচ্চা হবে, যে আমার দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা দেশের ভবিষ্যৎকে তো ভালো চাই।

সেই হিসেবে আমি বলব, তাঁর মেন্টাল, সাইকোলজিক্যাল প্রিপারেশন দরকার আছে। তাঁর ফিজিক্যাল প্রিপারেশনের দরকার আছে এবং আমরা একটি ওষুধ খেতে বলি, যেটা ফলিক অ্যাসিড, মাল্টিভিটামিনস আমরা খেতে বলি। প্রেগন্যান্সি প্ল্যান করার কমপক্ষে তিন মাস আগে থেকে উনি শুরু করবেন। যদি প্রেগন্যান্সি আসে, তার পরেও উনি তিন মাস কন্টিনিউ করবেন। তাহলে ইনশা আল্লাহ একটা সুস্থ বাচ্চা সম্ভব।#

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category